কাবুল: এবার পঞ্জশিরেও তালিবানের দখলে এসেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। হিন্দুকুশের কোলে আফগানিস্তানের ওই প্রদেশ সম্পূর্ণভাবে দখল করেছে বলে সরকারিভাবে দাবি করেছে তালিবান। এবার খুব শীঘ্রই আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে সরকার গঠন দু’দুবার স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তানের তরফে তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ জানিয়েছেন, এবার দ্রুত সরকার গঠন করা হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পঞ্জশিরের বাসিন্দারাও সমানাধিকার পাবে। কাবুল বিমানবন্দরও দ্রুত চালু হবে বলে জানিয়েছেন তালিবান মুখপাত্র। যদিও তালিবানের পঞ্জশির দখলের দাবি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। সূত্র থেকে জানা গেছে, নতুন সরকার গঠন অনুষ্ঠানে তালিবান পাকিস্তান, কাতার, তুরস্ক, রাশিয়া, চিন ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
রাশিয়ার সংবাদসংস্থা তাসও জানিয়েছে যে, নতুন সরকার গঠন অনুষ্ঠানে রাশিয়া সহ বেশ কয়েকটি দেশকে তালিবান আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
সরকার গঠন নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনার জন্য তালিবান একটি কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটির সদস্য খলিল হক্কানি বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন বলে জবিউল্লা জানিয়েছেন।
কাবুলে তালিবান সরকার গঠন করবে এবং তাদের সহ প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল ঘনি বরাদরকে সেই সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
জবিউল্লা বলেছেন, তালিবান নিজেদের সরকার গড়তে পারে। কিন্তু তারা এমন একটি প্রশাসন গড়ে তুলতে চাইছে যাতে সমস্ত দলের, গোষ্ঠীর ও সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর যথাযথ প্রতিনিধিত্ব থাকে। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তালিবান এককভাবে বিশ্বে গ্রহণযোগ্য হবে না।
জবিউল্লা বলেছেন, জামাত ই ইসলামির প্রধান তথা আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার ও প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির ভাইয়ের প্রতিনিধিত্ব সরকারে থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই দুজন তালিবানের প্রতি তাঁদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।