রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: মৃত্যু মানেই নিস্তব্ধতা, নীরবতা। মৌনতা। একজন মানুষ চলে যাওয়ার পর তাঁর পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। কিন্তু এর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা গেল জলপাইগুড়িতে। মৃত্যুশোক ভুলে পরিবারকে দেখা গেল উদ্দাম নৃত্য করতে। তাও আবার পরিবার থেকে এক বয়স্ক মানুষের চিরবিদায়ের পর !

শেষযাত্রায় ব্যান্ড পার্টি
রাজগঞ্জের দুবরাগছ গ্রামে দেখা গেল এমনই ছবি। যা দেখে চমকে উঠেছেন সক্কলে। পরিবারের প্রিয় মানুষের শেষ যাত্রায় কি না উচ্ছ্বাস ! অবাক কাণ্ড। শুধু উচ্ছ্বাস নয়, রীতিমতো গান, নাচ , ডিজে ! 
শেষযাত্রায় ব্যান্ড পার্টি, সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নাচ-গানে মেতে উঠলেন মৃতের আত্মীয়-পরিজনেরা। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের এই দৃশ্য স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন তুলেছে। 

আরও পড়ুন : 


জানুন আপনার প্রেমের রাশিফল


হরি বোল নয়, বাজল ডিজে !
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার মৃত্যু হয় ১০৪ বছরের মালতি সরকারের। এই সেঞ্চুরি পার করা জীবনে কত কী দেখেছেন তিনি। দেখেছেন প্রজন্মের পর প্রজন্মকে। তাঁর স্নেহচ্ছায়ার বেড়ে উঠেছে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা। তাঁর পরিবারের দাবি, শেষযাত্রায় শোক নয়, বরং আনন্দ করতে করেই যেন তাঁকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়, এমনটাই চেয়েছিলেন সেঞ্চুরি পার করা ওই মহিলা। সেই ইচ্ছার মান রাখতেই ব্যান্ড পার্টি নিয়ে, সাউন্ড বক্স বাজিয়ে শ্মশানযাত্রা করেন মৃতের আত্মীয়-পরিজন। সত্যিই এমন ইচ্ছেপ্রকাশ বিরল ! কিন্তু পরিবারের প্রিয় মানুষটির শেষ ইচ্ছে ফেলতেও পারেননি বাড়ির লোক। কীর্তন, হরির বোল নয়, বাজল ডিজে ! অভিনব উদ্যোগে সামিল এলাকাবাসীও। 


কেন এমন ইচ্ছে
মৃতার নাতি মঙ্গল সরকার জানান, তাঁদের ঠাকুরমা মালতি সরকার ১০৪ বছর ভালভাবে জীবন কাটিয়েছেন। বার্ধক্যজনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু।  তাই এই মৃত্যু আনন্দের। তাছাড়া ঠাকুরমার ইচ্ছেরও মান রাখতে এমন ব্যবস্থা। 


এমন অভিনব ব্যাপার চাক্ষুষ করতে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মানুষ।