রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল জনজীবন। সকলেরই অপেক্ষা ছিল কবে বৃষ্টির ধারা নেমে আসবে ভূমিতে। কিন্তু গতকাল যখন কালবৈশাখী (Kalbaisakhi) ঝড় এল, তাতে লণ্ডভণ্ড করে দিল ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝড়ের প্রকোপে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তার সঙ্গে নষ্ট হয়েছে চাষের ফসল। বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন রাত থেকেই।
কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ-
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে ধূপগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা। যে খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে জানা যাচ্ছে, গতকাল রাতের কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে বহু এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন। তার সঙ্গে ঝড়ে গাছ পড়েও বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঝড়ের ফলে আহত হয়েছেন ৩জন। জানা গিয়েছে, আহত তিন ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই তাঁরা এখন চিকিৎসাধীন। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাগুরমারি ১ ও বারোঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। জানা যাচ্ছে এমনটাই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই দুই এলাকায় গতকাল রাতের ঝড়ে বহু বাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় ঘরের চালের উপর ভেঙে পড়েছে বড় বড় গাছ। পাশাপাশি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়ে গোটা এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীদের দাবি, গতকাল রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় এক হাজারেরও বেশি গাছ উপড়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, বারোঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও পুরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন - Jalpaiguri News: ময়নাগুড়িতে বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেফতার এক
প্রসঙ্গত, গতকাল সকাল থেকেই ধূপগুড়ির আকাশে মেঘ ছিল এবং আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল রাতে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে রাত থেকেই ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায় ধূপগুড়ির আকাশ এরপর শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টি। কালবৈশাখী ঝড়ের ক্ষয় ক্ষতির ফলে সমস্যায় পড়েছেন কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।