রাজা চট্টোপাধ্যায়, ধূপগুড়ি (জলপাইগুড়ি): ধূপগুড়ি (Dhupguri) শহরে আজব কাণ্ড। একইসঙ্গে মৃত্যু হল বেশ কিছু কুকুর (Street Dogs) ও কিছু পাখির (Birds)। আর এই মৃত্যুর ঘটনা ঘিরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়ি শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সৎসঙ্গ পাড়া অরবিন্দ পল্লী এলাকায়।
শুক্রবার (Friday) সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের বাড়ির সামনে একটি পাখি পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর ধীরে ধীরে ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি পাখি মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়। এর খানিক বাদেই পাড়ার মোড়ে একটি কুকুরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপর এক এক করে মোট চারটি কুকুরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ এই কাজের পিছনে হাত রয়েছে কোনও অসাধু ব্যক্তির। সেই ব্যক্তি নিজের অসৎ উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করতে এই অবলা প্রাণীগুলির খাবারের সঙ্গে বিষ দিয়ে মেরে ফেলছে বলেই দাবি বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন ওই এলাকায় কুড়ি থেকে পঁচিশটি কুকুরের দল রয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চারটি কুকুরের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও আরও কুকুরের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পশুপ্রেমী সংস্থার সদস্যরা পৌঁছেছেন। তাঁরা কয়েকটি কুকুরকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়ে ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন এই কুকুরগুলো পাহারা দিত গোটা এলাকা। কার্যত এদের জন্যই নিশ্চিন্তে এলাকাবাসীরা ঘুমোতে যেতেন। এইভাবে কুকুরের মৃত্যুতে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
পাড়ার ছেলেপুলেদের হাতে পথকুকুরদের নিগ্রহের ঘটনার খবর মাঝেমধ্যেই উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। সরকারি হাসপাতালে নার্সিং-পড়ুয়াদের হাতে কুকুর-শাবক নিধনের ঘটনা এখনও কেউ ভোলেননি। পোষ্য ও পথকুকুরদের নিগ্রহের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মুখ খুলেছেন পশুপ্রেমী ও সামাজিক সংগঠনগুলি। আবার ধূপগুড়ির এই কাণ্ড রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।