রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA Khageswar Roy ) , তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হলেন পুত্রবধূ। তদন্ত শুরু করল পুলিশ।
সূত্রের খবর, পুত্রবধূ পিঙ্কি রায় তাঁর শ্বশুর তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। ২০১৯ সালে ময়নাগুড়ির বাসিন্দা পিঙ্কির সঙ্গে বিয়ে হয় রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়কের ছেলের। খগেশ্বর রায়ের ছেলে দিবাকর রায় তাঁর স্বামীর নাম। পিঙ্কির অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাঁর উপর শারিরীক এবং মানসিক অত্যাচার শুরু করে স্বামী এবং শাশুড়ি। বিধায়ক শ্বশুরমশাই নাকি জেনেও প্রতিবাদ করেননি। পিঙ্কি জানান, ' এতদিন থানায় ঘুরছিলাম, কেস নিচ্ছিল না। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। কোর্ট অর্ডার দিয়েছে তদন্ত করার। আমার সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। শাশুড়ি প্ররোচনা দিত, স্বামী মারত। শশুর সবটা জেনেও, প্রশ্রয় দিচ্ছিল। উনি যেহেতু তৃণমূলের বিধায়ক, তাই থানা অভিযোগ নিচ্ছিল না।
আরও পড়ুন : হাসপাতালে বিরিয়ানির বিল ৩ লক্ষ টাকা !
অভিযোগকারিণীর আইনজীবীর দাবি, একবছর আগে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পুত্রবধূ। অভিযোগ, ব্যবস্থা নিতে টালবাহানা করে পুলিশ। সুরাহা না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন বিধায়কের পুত্রবধূ। আইনজীবী জানান, আদালত পুলিশকে বধূ নির্যাতনের মামলা-সহ অন্যান্য ধারায় মামলার রুজু করে ১২ জুনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
পারিবারিক এই বিবাদের মধ্যেও চলে এসেছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। তৃণমূল বিধায়ক শ্বশুরের দাবি, গোটাটাই বিজেপির ষড়যন্ত্র। খগেশ্বর বলেন, ‘‘সবটাই মিথ্যা কথা। রাজনৈতিক চক্রান্ত করে আমাকে হেয় করার চেষ্টা চলছে । আইনের উপর ভরসা আছে।’’ স্থানীয় বিজেপি নেতারা অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সব ব্যাপারেই চক্রান্ত দেখে তৃণমূল, পাল্টা দাবি করেছে গেরুয়া শিবির।