রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: রাত থেকে টানা বৃষ্টি (Rain) ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে, জলবন্দি ১৫০ পরিবার বানারহাট  ব্লকের গয়েরকাটা এলাকায়। যার ফলে জল বাড়ল  ডুয়ার্সের একাধিক নদীতে। ডুডুয়া, জলঢাকা,কালুয়া, আংরাভাসা নদীতে দেখা দিয়েছে জলস্ফীতি। আংরাভাসা নদীর জল বেড়ে উঠছে ঢুকে পড়ল গ্রামে। বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা জ্যোতির্ময় কলোনি, কোঙ্গার কলোনি এবং বিবেকানন্দ পল্লীতে ঢুকে পড়েছে কালুয়া নদীর জল (River Water)। 


জলমগ্ন হয়ে পড়েছে আংরাভাসা নদীর জল ঢুকে, প্রায় এক কোমর জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। শোওয়ার ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে জল। যার ফলে দিশেহারা গ্রামবাসীরা। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র সরে যান অনেকেই। এখনও ডুয়ার্সের আকাশে কালো মেঘ রয়েছে। এখন ধূপগুড়ি-সহ ডুয়ার্সে বৃষ্টি কিছুটা কমেছে।তবে ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি এখনও চলছে। যার কারণে জল বাড়ছে সমস্ত নদীগুলিতে।গয়েরকাটার বিবেকানন্দ পল্লী, কোঙ্গার কলোনির একটা অংশ এবং জ্যোতির্ময় কলোনির প্রায় দেড়শো পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়ে। তবে দুপুর ১২ টার পর জলস্তর নামতে শুরু করেছে। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বিন্নাগুড়ি চা বাগানও।


যদিও আবহাওয়া দফতর আগেই পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছিল, উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কিছু জেলায় ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণ মৌসুমী অক্ষরেখা। কিছু জেলায় ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণ মৌসুমী অক্ষরেখা। এই মুহূর্তে সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা রয়েছে উত্তরবঙ্গের ওপর। ভারী বৃষ্টি হতে পারে, দার্জিলিং, কালিম্পং,আলিপুরদুয়ার,  কোচবিহার , জলপাইগুড়ি , উত্তরের এই পাঁচ জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে আগামী কয়েকদিন । ভারী বৃষ্টি সিকিমেও। 


আরও পড়ুন, প্রদীপ, প্রসন্ন-র পর ইডির নজরে আরও ১


প্রসঙ্গত, এপ্রিলের শুরুতেও প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন হয় ধূপগুড়ি-সহ ডুয়ার্সে।মুষলধারে বৃষ্টিতে জল জমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে শহরবাসী। কিন্তু সেবার নিকাশা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জেরে প্রতিবছর বর্ষাকালে সমস্যায় পড়তে হয় শহরবাসীকে। ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মায়েরথান কালীবাড়ি মোড় এলাকায় রাস্তার দু পাশে জল জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী থেকে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি জল জমার জেরে কোনও ক্রেতাই কেনাকাটা করতে দোকানে আসেননি। তাঁদের দাবি, বৃষ্টি পড়লেই এটা ওই এলাকার চেনা ছবি হয়ে উঠেছে। অভিযোগ, পুর-কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। জল নিকাশি ব্যবস্থা উন্নতি করার ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগও ওঠে।