রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে খাবারে মরা কেঁচো মেলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) ডাঃ অসীম হালদার। তদন্তের জন্য চার সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার মাথায় রয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (দুই) ডাঃ মৃদুল কুমার ঘোষ। সঙ্গে তিন ফুড সেফটি অফিসারকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।


হাসপাতালের রোগীদের খাদ্য সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে একটি ঠিকাদার সংস্থা। তাদের চিঠির মাধ্যমে  জবাবদিহি তলব করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অসীম হালদার জানান, তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আগামী বুধবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


কী অভিযোগ ?


জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে শিশু বিভাগে খাবারে মরা কেঁচো মেলার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেকে, এমনই অভিযোগ জানায় শিশুর পরিবার। এই ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেইমতো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার ৯ মাসের অসুস্থ শিশুপুত্রকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাসিন্দা দীপক রায়। হাসপাতালে শিশুর সঙ্গে ছিলেন মা। কিন্তু, অভিযোগ, শনিবার হাসপাতালের দেওয়া রাতের খাবারে মেলে মরা কেঁচো। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় শিশুর পরিবার।


দীপক রায় বলেন, বেবি ওয়ার্ডে যে খাবার দেয় তাতে কেঁচো ছিল। প্রায় ৫০ জন পেশেন্ট ছিল। সেই খাবার সকলে খায়। অনেকে বমি করে। আমি দেখে খেতে দিইনি। যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁদের সাসপেন্ড করা উচিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।


বিষয়টি জানাজানি হতেই হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়ায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করার দায়িত্ব ঠিকাদার সংস্থার। ঠিকাদার সংস্থার মালিককে এনিয়ে জানতে তিন বার ফোন করা হলেও, তিনি ধরেননি। মুখ খুলতে চাননি হাসপাতালের ক্যান্টিন ইনচার্জও।