রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: বেআইনিভাবে নিযুক্ত প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হবে। আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এবার ইস্তফা দিলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা অনন্যা মহাপাত্র। সূত্রের খবর, কারণ হিসেবে স্কুলকে তিনি জানিয়েছেন, বাতিল তালিকায় নাম থাকাতেই এই সিদ্ধান্ত।
ইস্তফা শিক্ষিকার: হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে স্কুলের চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন জলপাইগুড়ির বানারহাট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা। সূত্রের খবর, ইস্তফার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকায় নাম থাকাতেই এই সিদ্ধান্ত। ২১শে সেপ্টেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, বেআইনিভাবে নিযুক্ত প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হবে। এরপর, কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে, স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, নবম দশমে তারা ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে চিহ্নিত করেছে এবং ২০ জন প্রার্থীর চাকরির সুপারিশপত্র ফেরত নিয়েছে।
সেই তালিকায় ছিলেন জলপাইগুড়ির বানারহাট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা অনন্যা মহাপাত্র। ২০২১ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি বানারহাট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনন্যা মহাপাত্র যোগ দেন। সোমবার স্কুলে এসে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জয়িতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন, পদত্যাগপত্র জমা দেন। উনি কারণ হিসেবে জানিয়েছেন লিস্টে নাম বাতিল হয়েছে। ৯ তারিখে পদত্যাগ করার কথা, তার আগেই করলেন, উনি দোষী কি দোষী নয়, আমরা বলতে পারব না। এবিষয়ে স্কুলেও কিছু জানানো হয়নি। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে পাঠিয়ে গ্রহণ করেছি।’’
নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, “তিনি যেহেতু নিজে থেকেই ইস্তফা দিয়ে চলে গেলেন, এতেই বোঝা যাচ্ছে কিছু একটা বিষয় আছে। যে আট জনের তালিকা আছে, তার মধ্যে ইনার নাম আছে। উনি নিশ্চয়ই নিয়োগপত্র নিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। আমাদের প্রশ্ন কাকে টাকা দিলেন খুঁজে বার করতে হবে। আমরা চাই পরেশ অধিকারীর মেয়ের মতো টাকা ফেরত দিন। যেহেতু সেটা সরকারি টাকা মেদিনীপুরে টাকার লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।’’ এর আগে, ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি যায় প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। সেই জায়গায় চাকরি পান ববিতা সরকার। ইস্তফার বিষয়ে, অনন্যা মহাপাত্রকে ফোন করা হলেও, তিনি ধরেননি।
আরও পড়ুন: Purba Barddhaman: লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূলের প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য