রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ফের উত্তরবঙ্গে (North Bengal) পূর্ণ বয়স্ক হাতির মৃত্যু। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) গাজোলডোবায় (Gajoldoba) চাষের জমি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করল বন দফতর। উদ্ধার হয়েছে রাসায়নিক সারের একটি ব্যাগও। রাসায়নিক সার খেয়েই দাঁতালের মৃত্যু? উত্তর খুঁজছে বন দফতর (Forest Department)।


লাউ খেতের মধ্যে পড়ে গজরাজ। প্রকান্ড কালো শরীরটা নিথর, নিশ্চুপ। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ফের পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যুতে প্রশ্নের মুখে বন দফতরের ভূমিকা।


জলপাইগুড়ির গাজোলডোবার মহারাজ ঘাট এলাকা। রবিবার এখানেই লাউ খেতের মধ্যে দাঁতালের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে বৈকণ্ঠপুর ডিভিশনের বনকর্মীরা এসে হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করে। 


বন আধিকারিকদের অনুমান, পাশের বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল থেকে লাউ খেতে ঢুকেছিল হাতিটি। ঘটনাস্থল থেকে রাসায়নিক সারের একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। বন আধিকারিকদের অনুমান, এই রাসায়নিক সার খেয়েই মৃত্যু হয়েছে 


জলপাইগুড়ি বৈকণ্ঠপুর ডিভিশনের সহকারী বনাধিকারিক মঞ্জুলা তিরকে জানিয়েছেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। কোনও চক্রান্ত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: Purulia News: নেশার ঘোর? ঘুমন্ত স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েকে কুপিয়ে খুনের পর আত্মহত্যার চেষ্টা


গত অক্টোবরে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে চাষের খেত থেকে হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। চাষের জমিতে লাগানো তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু‍ হয়েছে বলে দাবি করে বন দফতর। ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ৫ মাসের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে ফের মৃত্যু হল দাঁতালের। 


উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ জলপাইগুড়ি তিস্তা সেতুর (Teesta Bridge) কাছে ট্রাক ভর্তি হাতি আটক করে বন দফতর (Forest Department)। অরুনাচল প্রদেশ থেকে ট্রাক বোঝাই করে অসম (Assam) হয়ে গুজরাট (Gujrat) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই হাতিগুলোকে। ছোট বড় মিলিয়ে মোট সাতটি হাতি ছিল বলে জানা গিয়েছে।


মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তিস্তা সেতুর কাছে হাতিসহ ট্রাকটি আটক করে জলপাইগুড়ি বন বিভাগের কর্মীরা। ঘটনায় মাহুত এবং গাড়ির চালকসহ ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বন দফতর। পাচারের উদ্দেশে হাতিগুলোকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিনা জানতে কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হাতির কানে লাগানো মাইক্রো চিপ পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানায় বনদফতর।