রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত টোটো চালক। মাটিতে ফেলে বেধড়ক মার টোটো চালককে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই চালক। তারপর টোটো টিকেও ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই চালক। টোটো চালককে মাটিতে ফেলে মারতে দেখে স্থানীয় ক্লাবের কিছু যুবক প্রতিবাদ করায় তাঁদেরকেও আক্রান্ত হতে হয় দুষ্কৃতীদের হাতে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ, অভিযোগ তাদের গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ির কাঁচ। পুলিশ কর্মীদের ওপরেও হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। টোটো চালকের পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদের উপরেও চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। এতে একজন এসআই ও দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার জখম হন। ওই মুহুর্তে পুলিশকেও পিছু হটতে হয় ঘটনাস্থল থেকে। ওই খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ নিয়ে ছুটে আসেন কোতোয়লি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে শহরের কংগ্রেসপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের কংগ্রেসপাড়া এলাকায় একটি টোটো বাইকে থাকা এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে তার পরপরই টোটোটিকে আটকায় কংগ্রেসপাড়া সংলগ্ন হরিজন বস্তিতে থাকা ওই বাইকে থাকা বাসিন্দা। এরপর কিছু যুবকদের জড়ো করে ওই টোটো চালককে মারধর শুরু করে। তবে কারা ওই দিনের ঘটনায় যুক্ত ও হামলাকারিদের চিহ্নিত করে গিয়েছে দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হবে।
৩৬ ঘন্টা পার হওয়ার পরেও মুল দুষ্কৃতীকারিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশ সুপারের দারস্ত পান্ডাপাড়া ক্লাবের সদস্যরা। তারপরই হরিজন বস্তিতে থাকা আসল দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও হরিজন বস্তি উচ্ছেদের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নামছেন পান্ডাপাড়া ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
কিছুদিন আগেই বাজার সেরে বাড়ি ফেরার পথে টোটো ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল মালদায় এক স্কুল শিক্ষকের। আহত হয়েছেন আরও দুইজন। মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল মালদা জেলার বাগবাড়ি চন্দন পার্ক এলাকায়। মৃত স্কুল শিক্ষকের নাম পুলক মিশ্র। বয়স ৫৪ বছর। আহত হয়েছিলেন তাঁর শ্যালক অমিত তিওয়ারি। তাঁর বয়স ৩৫ বছর। এছাড়াও আহত হয়েছিলেন টোটো চালক।