রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : (Jalpaiguri) জঙ্গলের ভিতরে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে হাতির হানায় (Elephant Attack) মৃত্যু (Death) হল দুই মহিলার (Women)। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক জন। তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে গরুমারা সাউথ রেঞ্জের অন্তর্গত জঙ্গলে।
নিহত ও আহত মহিলাদের বাড়ি মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধুপঝোরার মুচি পাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় সমগ্ৰ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।মঙ্গলবার জঙ্গলের ভিতর থেকে এক মহিলা ও বুধবার সকালে অন্য মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার কয়েকজন মহিলা গরুমারা জঙ্গলের ভিতরে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। ওই সময় একটি হাতি মহিলাদের উপর আক্রমণ করে।- হাতির হানায় ববিতা ওঁরাও ও মফিজা বেগমের মৃত্যু হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় নুরজাহান বেগম উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ সকালে গরুমারার কুনকি হাতি দিয়ে জঙ্গলের ভিতরে তল্লাশি করে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রামেও গত কয়েকদিন ধরে চলছে হাতির তাণ্ডব। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের কয়েকটি গ্রামে হাতির দল ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালায় বলে খবর। এরইমধ্যে গত রবিবার হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল এক প্রৌঢ়ার। রবিবার সাতসকালে প্রতিদিনের মতোই বাড়ির সংলগ্ন জঙ্গলে গিয়ে হাতির হানায় (Elephant Attack) মৃত্যু হয়েছিল ঝাড়গ্রামের নয়াগ্ৰামের এক প্রৌঢ় মহিলার । ঘটনাটি নয়াগ্ৰাম ব্লকের বড়খাকড়ি অঞ্চলের রামচন্দ্রপুর গ্রামের।মৃত মহিলার নাম ইচ্ছামতী বেরা। তাঁর বয়স ৬৫ বছর। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রতি দিনের মত ইচ্ছামতী দেবী রবিবার সকালে বাড়ি লাগোয়া বনাঞ্চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় জঙ্গলের হাতির সামনে পড়ে যান ওই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে ওই হাতিটি শুঁড়ে জড়িয়ে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলে ইচ্ছামতী বেরাকে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। স্থানীয়রা ক্ষতিপূরণেরও দাবি তুলেছেন।