প্রদ্যোৎ সরকার, নবদ্বীপ, নদিয়া: জৈষ্ঠের এই বিশেষ দিন সারা বাংলায় পালিত হয় জামাইষষ্ঠী (Jamai Sasthi)। ভোজে-উপহারে জামাইবরণ করেন শ্বশুর-শাশুড়ি। এই প্রথা মহা সমারোহে পালিত হয় নবদ্বীপ ধামেও। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে জামাই আদর দেখিয়ে বিশেষ পুজো ও ভোগের আয়োজন করা হয় নদিয়ার নবদ্বীপে (Nabadwip)।


জামাইষষ্ঠীর সকাল থেকেই নদিয়ার (Nadia News) নবদ্বীপ ধামেশ্বর মহাপ্রভুর মন্দিরে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে বিভিন্ন আচার মেনে জামাই হিসাবে বরণ করা হয়। এ দিন ভোর থেকে বিভিন্ন প্রথা মেনে আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জামাই হিসাবে বরণ করা হয় মহাপ্রভুকে। এ দিন নতুন ধুতি পাঞ্জাবিতে সাজানো হয় তাঁকে। পরানো হয় ফুলের মালা। গায়ে দেওয়া হয় সুগন্ধি। মহাপ্রভুকে নিয়ে এই মহা সমারোহের আয়োজন দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী ভিড় করেন নবদ্বীপের মহাপ্রভু মন্দিরে। মধ্যাহ্নে ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় শাক, থোড়, মোচা, শুক্ত, নানা রকমের তরকারি, ডাল, ভাজা, ছানার তৈরি ধোকা, পনিরের ডালনা, পোস্ত। এছাড়াও বিশেষ ভোগ হিসেবে এদিন আমের রস ক্ষীরের সঙ্গে মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় জামাইষষ্ঠী স্পেশাল মিষ্টি। সব শেষে থাকে মশলা ও সাজানো পান।


জামাইষষ্ঠীর দিন গোটা দিনের পুজোর মধ্যেই প্রকাশ পায় জামাই আদর। এই দিনে সারা নবদ্বীপের মানুষের চোখে জামাই হিসেবেই আদর পেয়ে থাকেন মহাপ্রভু। নবদ্বীপের মহাপ্রভু মন্দিরে কয়েকশো বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি।


মহাপ্রভুকে (Gourango Mahaprabhu) নতুন ধুতি-পাঞ্জাবিতে সাজানো হয় জামাই বেশে। পরানো হয় রজনীগন্ধা আর গোলাপের মালা। ছেটানো হয় আতর। রুপোর রেকাবিতে ছানা, মিষ্টি দেওয়া হয়। সন্ধেবেলা নাটমন্দিরে বিশেষ কীর্তন বসে। আলোয় মুড়ে ফেলা হয় গোটা প্রাঙ্গন। রাত ৯ টায় মহাপ্রভুর শয়ন ভোগ। পাতে থাকে ঘিয়ের লুচি, মালপোয়া আর রাবড়ি। সঙ্গে খিলি করে সাজানো সুগন্ধি পান।


এবার ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী ১২ জুন জামাইষষ্ঠী। যদিও পঞ্জিকা অনুযায়ী ১১ জুনেই পড়ে গিয়েছিল তিথি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই তিথি থাকছে। ষষ্ঠী তিথিতে সন্তানের মঙ্গল কামনায় বা সন্তান প্রার্থনা করে ব্রত ও প্রথা পালন করা হয়ে থাকে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: লক্ষ্মীবারে কার ভাগ্যে লটারি-যোগ? কার ব্যবসায় উন্নতি? রইল রাশিফল