কলকাতা: পোলাও হবে নাকি সাদা ভাত? ইলিশটা ভাল হবে নাকি চিংড়ির মালাইকারি? মিষ্টি বাছাই করতেও বেশ মাথা ঘামাতে হয়। কথা হচ্ছে জামাইষষ্ঠীর পেটপুজো নিয়ে। কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। গ্রীষ্মকালে যে পার্বণটির জন্য বাঙালির ঘরে ঘরে আগে থেকেই প্রস্তুতি চলে তার অন্যতম হল জামাইষষ্ঠী। আগে থেকে মেনু ঠিক করা, বাজার করা তারপর রান্না। এত কাজ সামলাতে লোকবল চাই। কিন্তু এখন ছোট পরিবার। অত লোক কোথায়? সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন (Panchayat and Rural Development) দফতরের অধীনস্থ ওয়েস্ট বেঙ্গল কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (West Bengal Area Development Corporation)। 


কীভাবে? জামাই ষষ্ঠীর জন্য স্পেশাল মেনু চালু করেছে তারা। সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হবে বাড়িতে। ইদানিং বাড়িতে রান্না করেন না অনেকে। কোনও রেস্তরাঁয় টেবিল বুক করে অনুষ্ঠান করেন। কিন্তু তাতে তো বাড়ির আবহ থাকে না। সেদিকটি ভেবেই এমন কাজ। রান্নার ঝামেলা নেই, অর্ডার করলেই সময়মতো বাড়িতে আসবে এলাহি খাবার।


পাতে থাকবে কী কী?

দুইরকম প্লেট করা হয়েছে। দুটিরই দাম প্লেটপ্রতি ৫০০ টাকা।



  • একটিতে রয়েছে, গন্ধরাজ রাইস, ইলিশ পাতুরি যেখানে থাকবে একটি মাছ, ঝাড়গ্রামের বুনো মুরগির মাংস (৪ পিসের প্লেট), আনারসের চাটনি এবং শক্তিগড়ের ল্যাংচা।

  • অন্য প্লেটে রয়েছে, গন্ধরাজ রাইস, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, পাঁঠার মাংস, আনারসের চাটনি এবং শক্তিগড়ের ল্যাংচা।

  • এখানেই শেষ নয়। রয়েছে অ্যাড-অন-এর ব্যবস্থা। অর্থাৎ আরও মেনু রয়েছে যা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কেনা যাবে। এই দিয়ে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে।




কখন অর্ডার:
৩ জুন, রাত ১০টা পর্যন্ত হোম ডেলিভারির অর্ডার নেওয়া হবে। তারপরেও খাবারের অর্ডার নেওয়া হবে কিন্তু সেক্ষেত্রে হোম ডেলিভারি হবে না। ক্রেতাকে নিজে গিয়ে সল্টলেক সেক্টর ১-এ ডিডি ব্লকে মৃত্তিকার অফিস থেকে আনতে হবে।


চালু করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও:
৮২৪০৬২২৩৪৬, ৯৭৩৪৩৯৯৯১৫স ৮১৭০৮৮৭৭৯৪


সারাবছরই হোম ডেলিভারি:
সিএডিসি-র পক্ষ থেকে সারাবছরই চালু থাকে খাবারের হোম ডেলিভারি। সাধারণ মানুষের জন্য খাবারের পাশাপাশি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বয়স্কদের জন্য সারা মাসের খাবারও সরবরাহ করে থাকেন তারা। পাশাপাশি বাড়ির পোষ্যদেরও খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়ি বয়ে। 


আরও পড়ুন: কাকে চুম্বন করে রাহুল বললেন 'এই অ্যাত্তোটা ভালোবাসি'?