কলকাতা: তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর সরকার (Jawhar Sircar Resigns)। এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ে কাছে গিয়ে জহর সরকার জমা দিলেন পদত্যাগপত্র। 


আর জি কর-কাণ্ড ও দুর্নীতির প্রতিবাদে গত রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দিয়ে তৃণমূল সাংসদের পদ ও রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন জহর সরকার। গোটা ঘটনায় সরকারের পদক্ষেপ এবং দলের আচরণই যে তাঁর ইস্তফার কারণ, তৃণমূলনেত্রীকে চিঠি দিয়ে সেকথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ওইদিনই জহর সরকারকে ফোন করেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু জহর সরকার জানিয়ে দিয়েছিলেন, পদত্য়াগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসা সম্ভব নয়। এদিন পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর জহর সরকার X হ্যান্ডেলে লেখন, "আমার সময় শেষ, স্যার! আজ সংসদ ভবনে উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান শ্রী জগদীপ ধনকড় সাংসদ হিসেবে আমার পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করলাম। এবার লেখা এবং বলতে পারব অবাধে। স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতির লড়াই আরও জোরদার হবে। 


 






এদিন জহর সরকার বলেন, "বাংলায় এখন উত্তাল পরিস্থিতি, একটা তো মীমাংসা করতে হবে। অনেকে এর মধ্যে রাজনীতি দেখছেন। আমি মনে করছি মানুষ এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। সবারই তো একটা রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকে, তাই বলে কি আমরা এগোব না? অরাজনৈতিক সমাধানসূত্র বের করতে হবে। যাঁরা বলছেন দলের ভাল সময়ে এসেছেন, খারাপ সময়ে ছাড়ছেন, তাঁদের বলব খারাপ সময়টা করেছে কে? নিশ্চয় কেউ খারাপ কাজ করেছে, যেখান থেকে এই খারাপ সময় এসেছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া তো আগেই শুরু করা যেতে পারত। প্রশাসনেরও তো ভূমিকা আছে, সবকিছু রাজনীতির ওপর ছেড়ে দিলে হয় না কি? দুর্নীতিতে বিরক্ত বাংলার মানুষ। ২৫ দিন আগেই সন্দীপ ঘোষকে সরাতে বলেছিলাম।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন:  Junior Doctors Agitation:লাইভ স্ট্রিমিং না হলে বৈঠকে যাবেন না জুনিয়র ডাক্তাররা, টানাপোড়েন চরমে