ঝালদা : হাইকোর্টে আগাম জামিন মেলেনি। ঝালদা পুরনো থানায় আগুন লাগার ঘটনায় পুরুলিয়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন ঝালদা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল। আজ সাতসকালেই বিপ্লবকে নিয়ে জেলা আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে উপস্থিত হন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো ও কংগ্রেস সমর্থকরা। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।


কী হয়েছিল ?


কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর (Congress Councillor Tapan Kandu) খুনে (Murder Case) সিবিআই তদন্ত (CBI probe) চলাকালীন ঝালদার পুরনো থানায় (Jhalda Old Police Station) অগ্নিকাণ্ডের (Fire) ঘটনা ঘটে। গত ১১ এপ্রিল সকাল ১১টার সময় পুরনো ঝালদা থানায় আগুন লাগে। থানা চত্বরে থাকা প্রায় ৪০টি বাজেয়াপ্ত করা মোটর বাইক আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে যায়। দমকলের একটি ইঞ্জিন কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই থানাতেই রাখা শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage)। কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় এখানেই তদন্তের কাজ করেন সিবিআই অফিসাররা। 


পুলিশের দাবি, আগুন লাগার কয়েক মিনিট আগে থানার পাশ দিয়ে অন্নপূর্ণার শোভাযাত্রা যায়। সেই শোভাযাত্রায় বাজি ফাটানো হচ্ছিল। সেই বাজি থেকেই থানায় আগুন লাগে। এই ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। তাতে কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল-সহ ১০০-১৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মূল অভিযুক্ত করা হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়ালকে। 


ঘটনার পর থেকেই তিনি গা ঢাকা দেন। হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেন। জামিন না মেলায় আজ জেলা আদলতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। যদিও বিপ্লবাবুর দাবি, যেহেতু কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় তিনি সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন, তাই তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।


জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, আমরা বিচারের ওপর আস্থা রেখেছি। পুলিশ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বিপ্লবের ওপরে বেশ কয়েকটি মামলা করেছে। বিপ্লব যে নির্দোষ তা প্রমাণ হবে।