কলকাতা : ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality) নিয়ে ফের ধাক্কা রাজ্যের। পূর্ণিমা কান্দুই আপাতত চেয়ারপার্সন থাকছেন। আপাতত ভাইস চেয়ারপার্সন পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসেবে কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ১০ ফেব্রুয়ারি ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের হাইকোর্টে শুনানি হবে। 


কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে গত সোমবারই কংগ্রেস কাউন্সিলরদের সমর্থনে পুরপ্রধান হয়েছিলেন শিলা চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নিয়েছিলেন দায়িত্ব। আর পরের দিনই তাঁকে অপসারিত করেন মহকুমাশাসক। একই সঙ্গে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর ও প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারকে। কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশিকাকে চ্য়ালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন, ঝালদা পুরসভার অপসারিত চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। 


যত জটিলতা ঝালদা পুরসভায়-


কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন। সাক্ষীর রহস্যমৃত্যু। CBI তদন্ত। আস্থা ভোট। সরকার মনোনীত চেয়ারম্যান বসানোর বিজ্ঞপ্তি। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর, অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত সোমবার চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়। 


নির্দল কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে ভোট দেন কংগ্রেসের ৬ কাউন্সিলর। তৃণমূলের ৪ জন কাউন্সিলর ব্যালট নিলেও, কেউই তা জমা দেননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কংগ্রেসের সমর্থনে ঝালদার চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, বুধবারই আচমকা এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁর অপসারণের ঘোষণা করেন মহকুমাশাসক। সুদীপ কর্মকারের চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এই প্রেক্ষাপটে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় কংগ্রেস।


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'এই রাজ্যে স্বৈরাচার চলছে, যেখানে হাইকোর্টের নির্দেশে জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে ঝালদায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন, সেখানে এসডিও তাঁকে সরিয়ে দিলেন, এরাজ্যেই এটা সম্ভব। এরাজ্যে দল ও প্রশাসন এক হয়ে গেছে। এসডিও-কে পার্টি করে কোর্টে যাব।'


যদিও পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৯৯৩ সালের পুরআইনের ভিত্তিতেই, দায়িত্ব থেকে অপসারিত করা হয়েছে শিলা চট্টোপাধ্যায়কে।


প্রসঙ্গত, ১২ আসনের ঝালদা পুরসভায় বর্তমানে কংগ্রেসের ৬ জন কাউন্সিলর। তৃণমূলের ৫ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বুধবার দায়িত্ব নিয়েছিলেন নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী, কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু।


আরও পড়ুন ; যত জটিলতা ঝালদায়! ফের কাউন্সিলর বদল সরকারের, ফের আদালতে যাচ্ছে কংগ্রেস