সৌভিক মজুমদার, ঝালদা : ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality) নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ কংগ্রেস (Congress)। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের (Division Bench) দ্বারস্থ কংগ্রেস। জেলাশাসককে পুরসভার মাথায় বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। 


এর আগে রাজ্যের প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তর ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। পরিবর্তে জেলাশাসককে পুরসভার দায়িত্ব সামলানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ কংগ্রেসের আইনজীবীদের। এনিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। সোমবার শুনানির সম্ভাবনা।


কী বক্তব্য কংগ্রেসের ?


কংগ্রেস কাউন্সিলরদের বক্তব্য, ইতিমধ্যেই পুর আইন মেনে চেয়ারম্যানকে অপসারণের কাজ হয়েছে। আইন মেনে তাঁরা নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের কাজ করেছেন। ফলে, এই মুহূর্তে তাঁদের হাতে একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান রয়েছেন। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে সেই চেয়ারম্যানকে তাঁরা দায়িত্বভার দিতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক ঝালদা পুরসভার নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্মের দেখভাল করছেন। এই পরিস্থিতিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কংগ্রেসের আইনজীবীরা বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মামলা দায়ের করার অনুমতি চান তাঁরা। সেই অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। 


গত ২১ নভেম্বর ঝালদা পুরসভায় আস্থা ভোটে পরাজিত হয় তৃণমূল। ২ নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে বোর্ড গড়ার তোড়জোড় শুরু করে কংগ্রেস। কিন্তু শনিবার নতুন পুরবোর্ড গঠনের আগের রাতেই, তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছোয়ারকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এই ইস্যুতে হাইকোর্টে মামলা করে কংগ্রেস।


সোমবার সেই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিন্হা রাজ্য সরকারের ২ ডিসেম্বরের নির্দেশিকায় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন। তাঁর নির্দেশ, প্রশাসক নন, ঝালদা পুরসভার দায়িত্ব সামলাবেন জেলাশাসক। সওয়াল জবাব শুনে বিচারপতি অমৃতা সিন্হা, রাজ্যের প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তে, ৫ জানুয়ারি অবধি অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন। সবপক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।


ওইদিন রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কি কাউকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ? সরকারি আইনজীবী বলেন, তিনি পদত্যাগ করেছেন। কারও তা জানা নেই ! চেয়ারম্যান পদত্যাগ করলে, সেই দায়িত্ব পালন করতে হয় ভাইস চেয়ারম্যানকেই। কিন্তু, ভাইস চেয়ারম্যান পদত্যাগপত্র কাকে দেবেন ?


বিচারপতি অমৃতা সিন্হা প্রশ্ন করেন, ২৮ নভেম্বর পদত্যাগ করেন ভাইস চেয়ারম্যান। রাজ্য সরকার তারপরও এই প্রক্রিয়ার মধ্যে কীভাবে হস্তক্ষেপ করে? রাজ্যের আইনজীবী বলেন, সরকার দেখেছে শূন্যপদ আছে। তাই হস্তক্ষেপ করেছে। প্রশাসক ইতিমধ্যেই দায়িত্ব নিয়েছেন।


আরও পড়ুন ; ঝালদা পুরসভায় মামলায় ধাক্কা রাজ্যের, প্রশাসক-বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ