অরিত্রিক ভট্টাচার্য, পুরুলিয়া: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার। গ্রেফতার করা হয়েছে ধাবা ব্যবসায়ী সত্যবান প্রামাণিককে।


কে এই সত্যবান:
ধৃত সত্যবান নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের দাদা নরেন কান্দুর ব্যবসার অংশীদার। ওই ব্যবসায়ীর ধাবায় বসেই খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের দাবি। সিটের তরফে সত্যবানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঝালদাতেই ধাবা রয়েছে সত্যবানের। তপন কান্দু খুনে ধৃত তাঁর দাদা নরেন কান্দুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী। 


আরও খোঁজ:
এর আগে গতকাল কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ধৃত আর এক ব্যবসায়ী আসিক খানের মেয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ঝাড়গ্রামে মেয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৫২ হাজার টাকা। কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের সুপারি বাবদ যে টাকা লেনদেন হয়, আসিক তারই ভাগ পেয়েছিল বলে সিবিআইয়ের দাবি। তপন কান্দুর খুনে কোন কোন দিক রয়েছে, তার সব সূত্র জোড়া লাগানোর চেষ্টা চলছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। 


তদন্ত নিরঞ্জন বৈষ্ণব খুনেও:
কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor) তপন কান্দুর (Tapan Kandu) খুনের মামলায় অন্যতম সাক্ষী ছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব। কদিন আগে তিনি আত্মহত্যা করেন। সেই ঘটনাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের প্রধান সাক্ষী তথা প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। ফের একবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ১৩ মার্চ ঘুরতে বেরিয়ে খুন হন পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু নিরঞ্জন বৈঞ্চব। গত বুধবার রহস্যজনকভাবে বাড়ি থেকে তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় সুইসাইড নোটও। স্থানীয়দের দাবি ছিল, মঙ্গলবার রাতে বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব। বুধবার ভোরে বাড়ি ফেরেন। তারপর ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।


আরও পড়ুন: বেহালা চড়কতলার সংঘর্ষে পুলিশি তৎপরতা, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক ৪