অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম : মাও-হামলার আশঙ্কার মধ্যেই জঙ্গলমহলে জাতীয় সড়কে চলল গুলি। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামে ভরদুপুরে জাতীয় সড়কে গুলি চালানোর পর বাইক-টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১.৩০ টা নাগাদ গোপীবল্লভপুর থেকে লোধাশুলি যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কে গুলিবিদ্ধ হন এক যুবক। পরিবার সূত্রে দাবি, বাইকে চেপে এসে ২ দুষ্কৃতীর হামলা চালায়। গুলি করে বাইক নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দৃষ্কৃতীরা। মোহনপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে গুলিবিদ্ধকে। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শ্যুটআউটের সঙ্গে মাও যোগ নেই।


মাও-যোগের আশঙ্কা স্থানীয়দের


প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরে জঙ্গলমহলে একের পর মাও পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। থানা বা মাও অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা হামলা চালাতে পারে আশঙ্কা করে গোটা এলাকাজুড়ে জারি রয়েছে হাই অ্যালার্ট। তাই হামলার নেপথ্যে মাওবাদী হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আক্রান্ত যুবকের দাদার মতেও, মাও-আতঙ্ক তৈরি করার লক্ষ্যেই আক্রমণ চালানো হয়েছে।


উদ্ধার মাও পোস্টার


এদিন সকালেই তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মাও পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। ঝাড়গ্রাম শহর সংলগ্ন মানিকপাড়া এলাকায় মেলে পোস্টার। ‘এতদিন তৃণমূল খেলেছে জনগণের সঙ্গে, এবার মাওবাদী খেলবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে’, লেখা রয়েছে পোস্টারে। স্বাভাবিকভাবেই যে পোস্টার উদ্ধার হওয়ার পরই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পোস্টারগুলি তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।


গত বৃহস্পতিবার সকালেও গড়বেতা থানার গনগনি এলাকায় মাওবাদীদের নাম লেখা পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। আদিবাসীদের অবিলম্বে পাট্টার ব্যবস্থা করার দাবি তোলা হয় ওই পোস্টারে। বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার জানান, পোস্টার দেওয়ার নেপথ্যে কারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


জারি হাই অ্যালার্ট


মাওবাদী নাশকতার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহল জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বুধবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, জঙ্গলমহল এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি, চলছে নাকা তল্লাশি। এরই মধ্যে নতুন করে পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে এলাকায়।


আরও পড়ুন- জোড়া চাপে অনুব্রত মণ্ডল, গরুপাচারকাণ্ডের পর ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় তলব সিবিআইয়ের