অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: সাত সকালে নয়াগ্ৰামের (Nayagram) চাঁদাবিলার (Chandbila) রাস্তার উপর দাঁপিয়ে বেড়ালো দলমা থেকে আগত দলছুট দাঁতাল। বুধবার সকালে খাবারের সন্ধানে দলছুট দাঁতালটি জঙ্গল ছেড়ে চাঁদাবিলা গ্ৰামের রাস্তার উপর রীতিমতো তাণ্ডব চালায় সেই হাতিটি। ফলে রাস্তায় তৈরি হয় যানজট। সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণত মানুষ থেকে শুরু করে যানবাহন চালকদের।
এর আগে কিছুদিন আগে সাতসকালে হাতির হামলা ঝাড়গ্রামে (Jhargram Elephant Attack)। তাতে মৃত্যু বেঘোরে প্রাণ গিয়েছিল এক মহিলার। শুঁড়ে পাকিয়ে তুলে ধরে তাঁকে হাতিটি আছাড় মারে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠেছিল বন দফতরের (Forest Department) ভূমিকা নিয়েও।
মাটিতে আছড়ে পড়ে গুরুতর জখম হন ওই মহিলা। স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে কোও রকমে হাতির সামনে থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
রাজ্যজুড়ে দাঁতাল হাতির দাপট এই প্রথম নয়। মাসখানেক আগে, একটি বুনো দাঁতাল হাতি হামলা চালিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের সুখানী বস্তিতে গুড়িয়ে দিয়েছিল একটি দোকানঘর। যদিও প্রানে বেচে যান দোকানের মালিক। বুনো দাঁতাল হাতিটি সেই দোকানে মজুত থাকা চাল, ডাল সহ অন্যান্য আনাজপাতি খেয়ে নেন। পর পর দুইদিন ঐ দোকানে হামলা চালানোর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
এছাড়াও রাজ্যের অন্য় প্রান্তে বাঁকুড়ায় বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে রাতভর হাতির তাণ্ডবের খবর এসেছিল। রাতে দলছুট একটি দাঁতাল ঢুকে পড়ে গঙ্গাজলঘাটির সবজি বাজারে। দুটি দোকান ভাঙচুরের পাশাপাশি সবজি নষ্ট করে। এরপর দাঁতালটি সুভাষপল্লি এলাকায় ঢুকে ভেঙে দেয় একটি বাড়ির পাঁচিল। বাড়ির বাসিন্দাদের রীতিমতো তাড়া করে নিয়ে যায় বলে দাবি। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় একঘণ্টা পর বন দফতরের কর্মীরা এসে হাতিটিকে বাগে এনে গঙ্গাজলঘাটিতে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন: নিয়োগে-দুর্নীতি মামলায় এবার গ্রেফতার এসএসসির ২ প্রাক্তন উপদেষ্টা