অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: সাত সকালে ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দাপিয়ে বেড়াল দলমার দলছুট দাঁতাল। হেঁটে বেড়াল এদিক-ওদিক। এদিন বালিভাষা এলাকায় হাতির দাপাদাপিতে একঘণ্টা জাতীয় সড়কে বন্ধ রইল যান চলাচল। শেষমেষ বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে দলছুট দাঁতালকে কব্জা করে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেন।






অন্যদিকে, ডুয়ার্সের কারবালা চা বাগানে নালায় পড়ে যায় হস্তিশাবক। আটকে পড়ে হস্তি শাবক। চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ডুয়ার্সের কারবালা চা বাগানের ঘটনা। বিন্নাগুড়ি স্কোয়াডের বন কর্মীরা ছুটে যান।  বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায়,  জলপাইগুড়ি অননারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী সহ বন কর্মীরা গিয়ে দেখেন, নালায় আটকে আছে হাতিটি ।  হস্তি শাবক কে নালা থেকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেছেন। বনকর্মী দের অনুমান তাঁদের অনুমান, পাশেই রেতি জঙ্গল থেকে রাতে চা বাগানে ঢোকে হাতির দল। তাদের সঙ্গে হস্তিশাবক নালা পেরোতে গিয়ে পড়ে যায়। কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় হস্তিশাবককে উদ্ধার করে আজ সকালে জঙ্গলে ফেরান বন কর্মীরা।


লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতি। তারপর শুরু হল তাণ্ডব। ফের হাতির হানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হল বাঁকুড়া জেলায়। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই একটি দলছুট দাঁতাল বড়জোড়ার জঙ্গল থেকে ঢুকে পড়ে বেলিয়াতোড় রেঞ্জের বৃন্দাবনপুর বিট এলাকায়। এরপর একের পর এক দোকানের দরজা ও শাটার ভাঙে হাতিটি। গত ১৯ অগাষ্ট খাবারের সন্ধানে বাঁকুড়ার সোনামুখী এলাকায় হাজির হয় দলমার দাঁতাল দল। পরে দলটি বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে বৃন্দাবনপুর রেঞ্জ হয়ে বারোটি হাতি হাজির হয় বড়জোড়া রেঞ্জে। এই বারোটি হাতির মধ্যে তিনটি হাতি দলছুট হয়ে পড়ে। এই তিনটি দলছুট হাতির আক্রমণে এখন ঘুম ছুটেছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় রেঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের। শুক্রবার ভোরের দিকে একটি দলছুট হাতি আচমকাই হাজির হয় বেলিয়াতোড় রেঞ্জের বৃন্দাবনপুর ও সাগরাকাটা এলাকায়। খাবারের সন্ধানে হাতিটি একের পর এক মোট চারটি দোকানে হানা দিয়ে দরজা ও শাটার ভেঙে দোকানের ভেতর থাকা সামগ্রী খেয়ে চম্পট দেয়। আসা-যাওয়ার পথে বিস্তীর্ণ কৃষিজমির ধান মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয় হাতিটি