কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জালে তৃণমূলের 'জীবন', বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের নিশানায় শাসকদল। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে টানা ৬৫ ঘণ্টা নাটকীয় টানাপোড়েনের পর, অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha Arrested)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর পর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শাসকদলের তৃতীয় বিধায়ক। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। এই ইস্যুতে এবার ট্যুইটে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।


'সবসময়ই একটি কলঙ্কিত অতীত ছিল'


এদিন ট্য়ুইট করে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যারা তৃণমূলকে নগদ অর্থ দিয়েছেন, তারাই টিকিট পেয়েছেন।  নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, যার সবসময়ই একটি কলঙ্কিত অতীত ছিল। নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টায় সে তার মোবাইলগুলি পুকুরে ফেলে দেয়। কিন্তু সিবিআই তা উদ্ধার করে।'






 জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে মিলেছে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি


প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে টানা ৬৫ ঘণ্টা নাটকীয় টানাপোড়েনের পর, অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর পর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শাসকদলের তৃতীয় বিধায়ক। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে মিলেছে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। এমনই দাবি সিবিআইয়ের।


ফোনেই কী লুকিয়ে আছে নিয়োগ দুর্নীতির গোপন তথ্য?


কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, শুধু নবম-দশম নয়, একাধিক ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ রয়েছে তৃণমূল বিধায়কের।  মুর্শিদাবাদ ছাড়াও, বিভিন্ন জেলার চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে এভাবে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলে সিবিআইয়ের অনুমান।বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোনেই কী লুকিয়ে আছে নিয়োগ দুর্নীতির গোপন তথ্য? এই প্রশ্নের উত্তর  খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পাশাপাশি উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 


আরও পড়ুন, শুধু জীবনকৃষ্ণ নন, CBI-ED-র নজরে আরও '৮-১০ বিধায়ক' ?


ফোন পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য


জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোনেই কী লুকিয়ে আছে নিয়োগ দুর্নীতির গোপন তথ্য? তার হদিশ পেতে পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ফোন আজই পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। ২ দিন ধরে জলের মধ্যে পড়েছিল ফোন। সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিবিআই আধিকারিকরা ড্রায়ার দিয়ে ফোন শুকোনোর চেষ্টা করলেও, সেটিকে এখনও পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি।