আবীর দত্ত, কলকাতা: শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee) ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাতভর তল্লাশিতে মিলেছে বহু চাকরিপ্রার্থীর তালিকা ও নথি, দাবি ইডি (ED) সূত্রের। এসএসসি দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর সল্টলেকে প্রোমোটারের অফিসে লুকিয়ে রাখা হয় নথি, অনুমান গোয়েন্দাদের।


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার নাম জড়াল শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের। প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে মিলেছে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা, অ্যাডমিট কার্ড ও ডিজিটাল নথি।বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। তদন্তকারীদের অনুমান, SSC নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর, প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিসে এই সমস্ত নথি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। একজন প্রোমোটারের অফিসে কেন চাকরিপ্রার্থীদের নথি? সহজে সন্দেহ হবে না, এই সম্ভাবনা থেকেই কি নথি লুকোনোর নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল প্রোমোটারের অফিস? ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের কাছে এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব চাওয়া হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের সল্টলেকের অফিসে রাতভর তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। গতকাল দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ FD ব্লকের এই অফিসে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর হুগলির বলাগড় থেকে প্রোমোটার অয়ন শীলকে আটক করে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সল্টলেকের অফিসে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি, প্রোমোটারের উপস্থিতিতে তাঁর অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি-র অফিসাররা। ইডি-র স্ক্যানারে রয়েছেন শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল। ABS ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেড নামে তাঁর একটি সংস্থার হদিশ মিলেছে। এই সংস্থার আরেক ডিরেক্টর অয়নের স্ত্রী কাকলি শীল। 

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও সম্পত্তির তথ্য পেল ইডি। সূত্রের খবর, গতকাল ব্যান্ডেল, বলাগড়, চুঁচুড়ায় দিনভর তল্লাশি এবং শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল ও আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য মিলেছে। ইডি-র দাবি, প্রোমোটার অয়ন শীলের প্রোডাকশন হাউস ছিল। টালিগঞ্জের স্টুডিয়োপাড়ায় যোগাযোগ ছিল অয়নের। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তাঁর মাধ্যমে টলিপাড়ায় বিনিয়োগ করা হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে ইডি। 

অগাধ সম্পত্তি:
জেলায় জেলায় সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি-র দাবি, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার নামে-বেনামে নতুন ১০টিরও বেশি সম্পত্তির তথ্য মিলেছে। শান্তনু ঘনিষ্ঠ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সমস্ত সম্পত্তির কথা জানা গেছে। নিয়োগ দুর্নীতির  টাকায় এই সমস্ত সম্পত্তি কেনা হয়েছিল বলে ইডি-র তদন্তকারীদের অনুমান।


আরও পড়ুন: কোচবিহারে বিজেপি বিধায়ককে কালো পতাকা দেখিয়ে 'গো ব্যাক' স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের