কলকাতা: চাকরিতে লক্ষ্মী লাভ না হলেও, আজ কোজাগরী পূর্ণিমায় ধনদেবীর (Laxmi Puja 2022) আরাধনা করবেন চাকরিপ্রার্থীরা। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নিচে প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীরা পুজোর আয়োজন করেছেন। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে হবে কবিগান। অন্যদিকে, পুজোর দিনও মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির নীচে অবস্থানরত SSC চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন রাজ্য সরকারি কর্মচারী একটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই ধর্নামঞ্চে আসবেন বলে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন।


কোজাগরী পূর্ণিমায় ধনদেবীর আরাধনায় চাকরিপ্রার্থীরা: বোধন থেকে বিসর্জন পেরিয়ে লক্ষ্মীপুজো। দুর্গাপুজোর আনন্দে গা ভাসিয়েছে গোটা রাজ্য। এখনও বজায় রয়েছে উৎসবের মেজাজ। কিন্তু, ওঁরা যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছেন। গোটা রাজ্য ঝলমলে আলোয় আলোকিত হয়েছে। কিন্তু, আন্দোলনকারী এই চাকরিপ্রার্থীদের আরও একটা পুজো কেটেছে অনিশ্চয়তার অন্ধকারেই। প্রশ্ন উঠছে, আর কতদিন? চাকরির জন্য আরও কতদিন এভাবেই ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় কাটাতে হবে? হকের চাকরির জন্য আরও কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? এই পরিস্থিতিতে এবার ধনদেবীর আরাধনায় চাকরিপ্রার্থীরা। 


 





আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। বাংলার ঘরে ঘরে ধন-সম্পদের দেবীর আরাধনা৷ সবার একটাই প্রার্থনা, এসো মা লক্ষ্মী, বোসো ঘরে...। কোজাগরী শব্দের অর্থ কে জেগে আছে? রাতে ধনদেবীর আরাধনা করাই চিরাচরিত রীতি৷ গৃহিণীরা নিজেরাই এই পুজো করতে পারেন৷ দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় শ্বেতপদ্ম ও শ্বেতচন্দন বিশেষ প্রয়োজন। ফল-মূলের পাশাপাশি চিড়ে নারকেল ছাড়া লক্ষ্মীপুজো ভাবাই যায় না। একে বলে চিপিটক৷ লক্ষ্মীর আরাধনা শেষে সারারাত জেগে পাশা খেলার রীতিও বহুল প্রচলিত।  কিন্তু এই উৎসবের বাংলায় আরেকটি ছবিও রয়েছে। আনন্দে যখন উদ্ভাসিত গোটা বাংলা, তখন রাস্তায় বসে চোখের জল ফেলতে হচ্ছে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের। উৎসবের কলকাতায় অপ্রাপ্তির বিষাদ। প্রায় ৫৭৪ দিন আগে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। উৎসবের দিনও অন্যরকম হয়নি ছবিটা। দুর্গাপুজোর দিনও আন্দোলনে চাকরিপ্রার্থীরা। পরিবার, বাবা-মা, সন্তানকে ছেড়ে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ তাঁদের। চোখে জল নিয়ে ধরে আসায় গলায় স্লোগান আন্দোলনকারীদের। 


আরও পড়ুন: Haridevpur Murder Update: ‘টার্গেট ছিল অয়ন মণ্ডলের মোবাইল ফোন’ হরিদেবপুরে খুনের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য