পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল ও এসআই পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা (Job Seekers Agitation)। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। 


যা হল...
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, শূন্যপদ রয়েছে। তাও নিয়োগ হচ্ছে না।অবিলম্বে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে থালা বাজাতে বাজাতে মিছিল করতে দেখা যায় তাঁদের। পশ্চিমবঙ্গ চাকরিপ্রার্থী যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে এই মহামিছিল ও জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের মতে, গত ৪ বছর ধরে রাজ্যে পুলিশে নিয়োগ নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি বেরোয়নি। ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি বেরোলেও তার ১৬০০ আসন এখনও খালি পড়ে রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের আরও বক্তব্য, আরটিআই করে জানা গিয়েছে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল সংখ্যা ৩২ হাজার। তা ছাড়াও কলকাতা পুলিশ-সহ সমস্ত পুলিশে শূন্যপদ রয়েছে।এক মহিলা বিক্ষোভকারীর কথায়, 'উচ্চতার মাপকাঠি কমিয়ে ১৫৭ সেন্টিমিটার করতে হবে।' আর এক জন বললেন, 'অবিলম্বে কনস্টেবল ও এসআই-র শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি বের করা হোক।' সমস্ত দাবিদাওয়া নিয়ে মিছিল রাজপথে।পাশাপাশি, বয়সসীমা বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩০ বছর করতে হবে। এই রাজ্যে নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভের ছবি অচেনা নয়। শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে নানা ধরনের প্রতিবাদ তো রয়েছেই, গত সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান নার্সিং চাকরিপ্রার্থীরাও।


নার্সিং চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ...
গত সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভেও নার্সির চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ছিল, অবিলম্বে চাকরির ব্যবস্থা করা হোক। তাঁরা জানান, যোগ্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরও চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে স্বাস্থ্যভবন চত্বরের ভিতরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়। ওই ঘটনার দিনই নিয়োগের দাবিতে ফের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ২০০৯-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ আটকাতে তুলকালাম বাধে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নিয়োগে দুর্নীতির জেরেই ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ।  সে দিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা! ক্যামাক স্ট্রিট দিয়ে গ্রুপ D চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল শুরুর আগেই এই ঘটনা ঘিরে হাজরায় হুলুস্থূল বেঁধে যায়! পুলিশকে এড়াতে রীতিমতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গিয়েছিল সেখানে। সরকারি চাকরি বিক্রির অভিযোগে যখন গোটা রাজ্যে তোলপাড়, নিয়োগের দাবিতে গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা যেদিন পথে নামেন, সেদিনই ফের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা।


আরও পড়ুন:গঙ্গাসাগর মেলায় ভেসেলের ভাড়া বাড়িয়ে টাকা আত্মসাৎ রাজ্য সরকারের? বড় অভিযোগ শুভেন্দুর