কলকাতা: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল'কলেজের (Jogesh Chandra Chaudhuri College) অধ্যক্ষকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ল' কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্যকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের আরও এক অধ্যাপককে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হল। আগামীকাল কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। যেখানেই দুর্নীতি মাথাচারা দেবে আমি সেখানেই হস্তক্ষেপ করব. - মন্তব্য বিচারপতির।
হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামীকাল থেকে কলেজে ঢুকতে পারবেন না ২ অধ্যাপক। ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা নেই, তাই অপসারণ, এমনটাই জানিয়েছেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আইনজীবী অর্ক কুমার নাগকে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করল আদালত। আজই পুলিশকে নিয়ে অধ্যক্ষের অফিসে তালা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। যদিও এই ২ ব্যক্তি যদি তাঁর যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন তা হলে তাঁকে পুনর্বহাল করা হবে।
যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল' কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ নিয়ে আদালতে একটি মামলা হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়, উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বেশ কিছু অধ্যাপক নিযুক্ত করেছেন মানিক ভট্টাচার্য।
মানিক ভট্টাচার্য নিযুক্ত অধ্যাপকরা বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে নিজেদের স্বার্থে প্রশয় দিচ্ছে। এই দুষ্কৃতীরা কলেজকে নিজেদের আখড়ায় পরিণত করেছে।
এই মামলায়, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করা হয়। ৯ ই অক্টোবরের মধ্যে এই দুষ্কৃতীদের হাজির করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি।
পাশপাশি, শুক্রবার এই কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। এদিন, এই মামলার নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, যেখানেই দুর্নীতি মাথাচারা দেবে আমি সেখানেই হস্তক্ষেপ করব।
আরও পড়ুন, '৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করুন', ইডিকে কার্যত সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট