অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: কেন্দ্রীয় হাসপাতালের জন্য জমি পরিদর্শন করলেন জন বার্লা। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডি আর এম অমরজিৎ গৌতম ছিলেন জন বার্লার সঙ্গে। এছাড়াও ছিলেন মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা। আলিপুরদুয়ার জংশন রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এই পরিদর্শন করেন। যেখানে প্রায় ৭৪০০ স্কোয়ার মিটার জমি রয়েছে। প্রয়োজন ২৫০০ স্কোয়ার মিটার। ফলে সব দিক থেকে উপযুক্ত জমি বলে দাবী ডিআরএম-এর। 


উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় তিনটি দফতর রেল, অনগ্রসর শ্রেনি কল্যান এবং স্বাস্থ্য দফতরের মিলিত সমন্বয়ে তৈরি হবে এই ২০০ কোটির টাকা ব্যয়ে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি   হাসপাতাল। সেই কারনেই আজ রেলের জমি পরিদর্শনে যান তারা। জানাযায়,  হাসপাতালটি জি প্লাস সেভেন তলা বিশিষ্ঠ হবে। অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্রের অনগ্রসর শ্রেনী কল্যান দফতর। রেলসহ মন্ত্রীর এই পরিদর্শন নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। জেলা তৃণমূলের দাবি লোকসভা ভোটের তিন মাস আগে মানুষকে ভাওতা দেওয়া হচ্ছে।


এদিকে, রাজ্যের অন্য প্রান্তে ভিন্ন একটি খবরে মিড-ডে মিলের সাপ পাওয়ার পর সম্প্রতি বীরভূমের (Birbhum) অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে মিলেছে ইঁদুর (Rat)। যখন পড়ুয়াদের খাবার দেওয়া শুরু হয় তখন দেখা যায় খিচুড়িতে মৃত ইঁদুর পড়ে রয়েছে। যা ঘিরে চাঞ্চল্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।ঘটনাটি ঘটেছিল বীরভূমের নলহাটি থানার  কুরুমগ্রাম মোহিত পাড়া একটি কেন্দ্রে। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। 


মিড ডে মিল প্রকল্পের হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে, ৮ দিনে ৮ জেলায় ঘুরেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা (Central Team)। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা। পরিদর্শনের পর ফের বিকাশ ভবনে বৈঠক করেছিলেন জয়েন্ট রিভিউ মিশনের প্রতিনিধিরা। এরপর বিকাশ ভবনে বৈঠক সেরেছিলেন জয়েন্ট রিভিউ মিশনের প্রতিনিধিরা।


রাজ্যে মিড ডে মিল নিয়ে সামনে এসেছিল একাধিক অভিযোগ। কোথাও মিড ডে মিলের মধ্য়ে মিলেছে সাপ। কোথাও ড্রামে পাওয়া গেছে মরা ইঁদুর। কোথাও খিচুড়ির মধ্য়ে টিকটিকি মেলার অভিযোগ। আর ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই মিড ডে মিলের বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখতে ২৯ জানুয়ারি রাজ্য়ে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।


মিড মিলের সুবিধা কারা পাচ্ছে ? রাজ্য সরকার স্কুলগুলিকে কীভাবে টাকা পাঠাচ্ছে ? যে টাকা  স্কুলগুলিতে বরাদ্দ হচ্ছে, তা কতটা কার্যকরী হচ্ছে ? মিড ডে মিলের পরিকাঠামো কেমন ? রান্নাঘরের কী অবস্থা ? ছাত্র-ছাত্রীরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কি না ? খাবার পরীক্ষা হয় কিনা ? বছরের শুরুতে ৮ দিনে ৮ জেলার ৩০টি স্কুলে  রাজ্য় সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে, তারা খতিয়ে দেখেছিলেন। মিড মিলের ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'যুগ যুগ থেকে মিড মিলের টাকা লুঠ হয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা কেন্দ্রকে যা দেখানো হয়, তার থেকে কম পড়ুয়া মিড ডে মিল-র সুবিধা পায়।'