অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : নামেই চলছে পরিষেবা। এক বছর ধরে যাত্রী টানতে ব্যর্থ হয়েছে জোকা-তারাতলা মেট্রো। ফলে, লাভ তো দূর অস্ত। অধিকাংশ বেহালাবাসী কখনও এই মেট্রোয় চাপেননি ! মেট্রো কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, লাভ-ক্ষতি দেখে মেট্রো চলে না।
উদ্বোধনের পর এক বছর পার। কিন্তু, যাত্রী পরিষেবায় সেভাবে দাগ কাটতেই পারেনি জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবা !দৈনিক যাত্রী সংখ্যা হাজারের কম ! অধিকাংশ বেহালাবাসী কখনও এই মেট্রোয় চাপেননি !
বেহালার বাসিন্দা সায়ন্তন ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, এক বছর ধরে মেট্রো চলছে। কিন্তু, মেট্রো সেভাবে তাঁর চোখেই পড়েনি ! তিনি বলেন, এক-দু'বার দেখেছি। মেট্রোটা চলছে উপর দিয়ে। আখেরে কোনও লাভ হয়নি।
বেহালার বাসিন্দা সঞ্জয় মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, আমি আমার বাড়ির ছাদে যখন দাঁড়িয়ে থাকি, তখন মেট্রোটা যাই চোখের সামনে দিয়ে, দেখি। এক একদিন গুনি, ১০ জন, ১১ জন, ১২ জন। তাও বলছি, এটা একদম অফিসের টাইমে। দুপুর বেলায় দেখলে তো আরও খারাপ লাগে।
এক যুগ পর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি জোকা-তারাতলা মেট্রো রুটের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এক বছরের মধ্যে এই রুটে পরিষেবা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। মেট্রো সূত্রে খবর, লাভ তো দূরের কথা, ক্ষতি সামাল দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কিন্তু, কেন এই হাল ?
প্রথমত, সাতসকালে মেট্রো পরিষেবা চালু হয় না। সন্ধে হতেই বন্ধ হয়ে যায় সেই পরিষেবা। আপ ডাউন মিলিয়ে চলে মাত্র ১২ টি মেট্রো। জোকা থেকে সকাল ১০টায় চলে প্রথম মেট্রো। সন্ধে ৬টায় জোকা মেট্রো স্টেশনে পৌঁছয় শেষ মেট্রো। দ্বিতীয়ত, সপ্তাহে ৫ দিন মেলে পরিষেবা। এমনকী সরকারি ছুটির দিনেও বন্ধ থাকে পরিষেবা। তৃতীয়ত, বেহালার মধ্যেই সীমাবদ্ধ পরিষেবা। মাঝেরহাট পর্যন্ত রুট বৃদ্ধির কথা থাকলেও, কবে চালু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আর বিবাদীবাগ পর্যন্ত মেট্রো রুট তো এখন বিশবাঁও জলে!
যদিও মেট্রো রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, রেল কিন্তু লাভ-লোকসানে হিসাব করে, ব্যালেন্স শিট হিসাব করে চলে না। রেল মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য আছে। রেল চায়, মানুষ সুস্থ পরিষেবা পাক।
সব মিলিয় অটো-বাসের এখনও বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি জোকা-তারাতলা মেট্রো।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে