আবির ইসলাম, বীরভূম: রাত পোহালেই মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)। সাগরে পুণ্যস্নান। সেই সঙ্গে আগামীকালই শুরু হবে বীরভূমের (Birbhum) বিখ্যাত জয়দেব-কেঁদুলি মেলা। করোনা বিধি মেনে মেলা হচ্ছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন। প্রস্তুতি তুঙ্গে। নিরাপত্তা জোরদার।
আখড়ায় বাউলের সুর, অজয়ে পুণ্যস্নান। মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) শুক্রবার শুরু বীরভূমের জয়দেব-কেঁদুলি মেলা প্রস্তুতি চূড়ান্ত। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। করোনা আবহে শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার (Gangasagar Mela) অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বীরভূমের জয়দেব-কেঁদুলির মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েও, ৪ দিনের মধ্যে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে প্রশাসন।
বোলপুরের (Bolpur) বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ (Chandranath Singh) বলেন, “করোনা নিয়ে আমরা চিন্তিত, কিন্তু মানুষের ভাবাবেগের কথা। ব্যবসা যাঁরা করেন, তাঁদের স্বার্থেও তো কিছু ভাবতে হবে। সেই কারণে মেলা হচ্ছে।’’ জয়দেব কেঁদুলি মেলা বিখ্যাত বাউল, ফকিরদের জন্য। তবে এবার মেলায় অংশ নিচ্ছে না মনের মানুষ আখড়ার শিল্পীরা। আখড়া বাইরে ফেস্টুন দিয়ে পরিষ্কার জানানো অতিমারির কারণে মনের মানুষ আখড়ার মিলন উৎসব স্থগিত। পরের মিলনের অপেক্ষায় রইলাম। এদিন থেকেই মেলায় আসতে শুরু করেছে মানুষজন। বসতে শুরু করেছে দোকান। বিধি মেনে ব্যবস্থা করা হচ্ছে পুণ্যস্নানের। মেলার বিভিন্ন জায়গাল লাগানো হয়েছে সচেতনতামূলক পোস্টার-ফেস্টুন। যদিও এদিন মেলায় আসা অনেক মানুষের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি।
এদিকে গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়ছে। কাকদ্বীপের লট এইটে আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে কচুবেড়িয়াগামী ভেসেল পরিষেবা। আজ সন্ধেয় গঙ্গারতির আয়োজন করা হয়েছে। কাল রাত থেকে শুরু হবে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। করোনা আবহে এবারও ই-স্নানে জোর দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় তত্পর প্রশাসন। নজরদারি চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বিনা মাস্কে দেখলেই সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি, চলছে মাইকে প্রচার। কপিল মুনির আশ্রম, মেলা চত্বর মাঝেমধ্যেই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। লকগেট তৈরি করে মন্দির চত্বরে প্রতিবারে ৫০ জন করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তবে মন্দিরের ভিতরে সাধু-সন্ন্যাসীদের অনেকের মুখেই নেই মাস্ক।