কলকাতা: জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে রাজ্য স্তরে টাস্ক ফোর্স (Task Force) গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে গঠিত টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন ২ জন জুনিয়র চিকিৎসক ও ২ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট, গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির একজন প্রতিনিধি, এক মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়া-সহ মোট ১১ জন। কী হবে এই টাস্ক ফোর্সের কাজ? 


টাস্ক ফোর্স গঠনের বিজ্ঞপ্তি : জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে রাজ্য স্তরে টাস্ক ফোর্স গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে গঠিত ১১ সদস্যের টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি স্বাস্থ্যসচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি ২ জন জুনিয়র চিকিৎসক ও ২ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির একজন প্রতিনিধি ও একজন মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়া। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তোমরা ডিজিকে রেখেছো, সিপিকে নিয়ে নাও আর গ্রিভান্সেসের রিড্রেসাল থেকে একজনকে নিয়ে নাও। ৫জন হয়ে গেল। ওদের পক্ষ থেকে ২ জন জুনিয়র ডাক্তার নিয়ে নাও, আর ২ জন রেসিডেন্সিয়াল ডাক্তার নিয়ে নাও। ৯ জন হয়ে গেল। আর মেয়েদের থেকে একজনকে নিয়ে নাও স্টুডেন্টদের থেকে। ১০ জন হয়ে গেল।''

মূলত রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়ন, চিকিৎসক-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং অভিযোগের নিষ্পত্তি করাই হবে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের কাজ। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এই টাস্ক ফোর্স রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর নজর রাখবে। কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন, প্যানিক বাটন সিস্টেম, কেন্দ্রীয় রেফারাল ব্যবস্থার রূপায়ণও খতিয়ে দেখবেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। অভিযোগ জানানোর অভ্যন্তরীণ কমিটি-সহ একাধিক কমিটির কাজও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব রয়েছে এই টাস্ক ফোর্সের ওপরে। মাসে অন্তত একদিন এই কমিটি বৈঠকে বসবে।

টাস্ক ফোর্স গঠন করা হলেও, জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, তাঁদের বহু দাবিই এখনও অধরা। নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেও, সোমবার অবশেষে ১৭তম দিনে অনশন প্রত্য়াহার করে নেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অনশনকারীদের মধ্য়ে, জুনিয়র চিকিৎসক স্নিগ্ধা হাজরা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা ও আলোলিকা ঘোড়ুই।  ভর্তি রয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। গঠিত হয়েছে ৯ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। এদের মধ্যে স্নিগ্ধা হাজরা ও সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা প্রথম দিন থেকে অনশন করছিলেন। ৩ জনকেই ক্রিটিক্য়াল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। এসএসকেএমে ভর্তি রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্য়ায় ও স্পন্দন চৌধুরী, শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পরিচয় পণ্ডা। শনিবার আর জি কর মেডিক্য়ালে গণ কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।