কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption Case) সিবিআই-এর (CBI) ভূমিকায় অসন্তোষপ্রকাশ বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly)। সিটের কয়েকজন আধিকারিক ঠিকমতো কাজ করছেন না, মন্তব্য বিচারপতির। প্রয়োজনে তাঁদের বদল করা হতে পারে, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানালেন বিচারপতি। দুপুর ২.৩০টেয় মূল মামলার শুনানি।
হাইকোর্টের ভর্ত্সনা: এর আগে টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় ভর্ত্সনা করে হাইকোর্ট। ‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দুর্নীতি ও অসৎ আচরণের জন্য বিখ্যাত, কিছু আধিকারিক ও আমলার অপদার্থতায় আসল যোগ্যরা সুযোগ পান না’, ২০১৪-য় টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি মামলাকারী নেফাউর শেখকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ। এ দিকে, হাইকোর্টের নির্দেশ, ‘৪ সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ নিয়ে প্রাপ্ত নম্বর দিতে হবে’। ইন্টারভিউয়ে যোগ্য হলে চাকরি দিতে হবে, নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
বিচারপতির অনুমতি: উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৭-র টেট ( TET 2014 , TET 2017 ) অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২১ জন অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী ২০২২-এর প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। ওই চাকরিপ্রার্থীদের ফর্ম পূরণের অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ( Abhijit Gangopadhyay ) ।
কেন অনুমতি পেলেন তাঁরা ? মামলাকারীদের দাবি, এই চাকরিপ্রার্থীরা দেড়শোর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন। ফলে এঁদের গড় নম্বর ৫৪.৬৭ শতাংশ। নিয়ম অনুসারে ৫৪.৬৭-কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। ৫৫ নম্বর পেলেই এঁরা যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মান্যতা পাবেন। মামলাকারীদের আরও দাবি, ২০১৪-র টেটে ৬টি ও ২০১৭-য় ৮টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন।
এই প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ২০১৪’র ৫ জন এবং ২০১৭’র ১৬ জন টেট অনুত্তীর্ণ। মামলাকারী ২০১৭ এবং ২০১৪’র টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের আইনজীবীরা, বৃহস্পতিবার আদালতে সওয়াল করেন, এই প্রার্থীরা ১৫০ এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছে। অর্থাৎ এরা ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ৫৪.৬৭ কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। এবং ৫৫ পেলেই এরা যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মান্যতা পাবেন। এছাড়া মামলাকারীরা আরও দাবি করেন, ২০১৭ সালে ৮টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন। ২০১৪ সালে ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। এই সওয়াল জবাবের পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২০১৭’র ১৬ জন এবং ২০১৪’র ৫ জন। অর্থাৎ মোট ২১ জন অনুত্তীর্ণ, ২০২২’এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। তাঁদের ফর্ম পূরণ করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মাসখানেক আগেই ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপর প্রাথমিকের টেট এবং প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।