কলকাতা: 'মন্দার' (Mandaar) হোক বা 'বল্লভপুরের রূপকথা' (Ballabhpurer Roopkotha), অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যের (Anirban Bhattacharyya) পরিচালনা মানেই যেন প্রধান ভূমিকায় থিয়েটারের দুনিয়া থেকে আসা শিল্পীরা। আর সেই কাস্টিং যে কতটা সফল, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন দর্শকেরা। 'মন্দার' দেবাশীষ মণ্ডল থেকে শুরু করে 'বল্লভপুরের রূপকথা'-র ভূপতি, প্রত্যেকেই নিজ নিজ চরিত্রে প্রশংসা পেয়েছেন। কিন্তু থিয়েটারের কথা ভেবেই কি চরিত্রদের রূপ দেন অনির্বাণ?
এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে অনির্বাণ বলছেন, ' আমি যেটা দেখছি, যেটা পড়ছি আর তারপরে আমার মানসপটে যে চেহারা ভেসে উঠছে, সেটাই আমার কাস্টিংয়ের প্রথম শর্ত। তার পরের শর্ত, তাঁকে একজন অভিনেতা হতে হবে। চরিত্রের সঙ্গে মানাবে এমন অনেক মানুষকেই হয়তো চিনি। কিন্তু তাঁরা হয়তো ভাল অভিনেতা নন, বা অভিনেতাই নন, তেমন হলে চলবে না। যাঁরা অভিনেত নন, তাদের দিয়ে পর্দায় অভিনয় করানোতে আমি বিশ্বাসী নই আর পারিও না। 'বল্লভপুরের রূপকথা'-র ক্ষেত্রে সত্যম অভিনেতা। তবে ছবিতে ও কেমন অভিনয় করবে, সেটার জন্য তো একটা লম্বা পদ্ধতি। গত বছর থেকে সত্যম এই কাজটার সঙ্গে রয়েছে।'
ইন্ডাস্ট্রির কোনও তথাকথিত নায়কদের নিয়ে ছবি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে অনির্বাণের? পরিচালক বলছেন, 'আমি একজনকে কাস্ট করব, এটা ভেবে গল্প নির্বাচন করি না। প্রথমে ছবির গল্প নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর গল্প আর চরিত্রের চেহারা অনুযায়ী ঠিক হয় কাস্টিং। বিশেষ একজন নায়ক বা নায়িকাকে কাস্ট করব ভেবে কখনও ছবি তৈরি করব না আমি। আমার পদ্ধতি হচ্ছে, আগে কোন গল্প বলব এবং কেন বলব সেটা ঠিক করা। একটা গল্প বলার শৈল্পিক যুক্তি থাকতে হবে। তারপরে চরিত্রায়ন। কাস্টিং ভেবে ছবি শুরু করি না আমি।'
ইন্ডাস্ট্রির অনেক নায়ক বা পরিচালকই এখন নিজে প্রযোজনা করছেন। অনেকে বলেন, এতে নাকি স্বাধীনতা পাওয়া যায়। অনির্বাণও কি একমত? হেসে অনির্বাণ বললেন, 'আমি কখনোই প্রযোজনার কথা ভাবিনি। যাঁদের সঙ্গে আমি কাজ করি তাঁরা যথেষ্ট স্বাধীনতা দেন আমায়। প্রযোজকেরা কখনও আমার কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াননি।'