কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারককে নিয়ে টানাপোড়েন। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিতে হল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak)। বিকেল ৫টার মধ্যে হাজিরা না হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly। নির্ধারিত সময়ের আগেই এদিন আদালতে পৌঁছে যান মলয়। সেখানে দু'জনের মধ্যে কথা হয়। শেষ মেশ, বদলির সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বাড়তি সময় দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বুধবার বিকেল ৫টা বাজার আগেই আদালতে পৌঁছে যান মলয়। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যাের বদলির ফাইল কেন এতদিন পড়ে রয়েছে, কেন নির্দেশ কার্যকর হয়নি, সেই নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মলয়ের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ফাইলটা আপনার কাছে পড়ে আছে। একটু দেখুন।" জবাবে মলয় বলেন, "হাসপাতালে ছিলাম। চার দিন হল ছাড়া পেয়েছি। ১৫ দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন চিকিৎসক। দ্রুত দেখে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।"
এদিন বিচারপতির কাছে বাড়তি দু'দিন সময় চান মলয়। তাতে আপত্তি করেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ৬ অক্টোবরের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। অর্থাৎ বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের বদলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁকে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকায় যেমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত, তেমনই বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণের ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে তাঁকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তাঁকে বদলি করা হয়নি বলে জানতে পেরে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "জানতে পেরেছি এখনও বদলি হয়নি। মাথার উপর কার হাত?"
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশকে মামলায় যুক্ত করা হয়। ধৃত চার শিক্ষক তদন্তে সহযোগিতা না করলে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাতে ওই চার জনের জেল হেফাজতের নির্দেশও দেয় বিশেষ সিবিআই আদালত। তাতেই ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সিটের কাজে হস্তক্ষেপের অধিকার কে দিয়েছে? কেন জেলে পাঠানো হল? কেন এই বিচারক অত্যুৎসাহী হয়ে পড়েছেন?" নতুন কেউ না আসা পর্যন্ত অর্পণ চট্টোপাধ্যায় কোনও বিচার করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন।