কলকাতা: জোড়া মামলায় এজলাস বদলের পরে ফের মুখ খুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জড়ানো প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি।


কী বলেছেন বিচারপতি:
হাইকোর্ট থেকে বেরোনোর সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'অভিষেকের নাম তো কুন্তল নিজেই তুলেছে, পেশ করা নথিতেও তা আছে। এতো আমার বানানো বা আকাশ থেকে পড়া নয়, অভিষেক নামে কি কেউ নেই? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পৃথিবীতে কি কেউ নেই?' তিনি আরও বলেন, 'তৃণমূল বলে আমার কাছে কিছু নেই, আছে শুধু দুর্নীতি, আর দুর্নীতি না থাকা। কোনও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সুবিধে নেওয়া..এসব আসে না, সব বাজে কথা। বিচারের সময় দেখতে চাই, দুর্নীতি আছে, না দুর্নীতি নেই, এর বাইরে কিছু নেই।'


নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত অন্য মামলাগুলি সরে যাবে কিনা সেই নিয়েও এদিনও মুখ খোলেন তিনি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'যে গ্রাউন্ডে একটি মামলা সরেছে, একই গ্রাউন্ডে সব মামলাই সরতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট চাইলেই সরাতে পারে।'


আগেও মুখ খুলেছিলেন:
২৮ এপ্রিল দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত ২টি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরানোর জন্য। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে (এখন প্রধান বিচারপতি) বলা হয়েছিল কার বেঞ্চে সেই মামলা যাবে সেটা দেখতে। সেদিনই রাতে হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্য়মের সামনে মুখ খুলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, 'আমি তো নিজে সরাচ্ছি না। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে হচ্ছে। একটা ডিসিপ্লিন আছে। সেই অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ আদালত। সেটা মেনে চলতে হবে।' মামলা সরে যাওয়া নিয়েও সেদিনও মন্তব্য করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ২টি মামলা সরানোর কথা বলা হয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বেঞ্চ থেকে। বাকি নিয়োগ দুর্নীতি মামলাগুলি রয়েছে তাঁর এজলাসে। যদিও এদিন বিচারপতি বলেন, 'আরও দুর্নীতির মামলা রয়েছে, সেগুলো হয়তো আমার হাত থেকে সরে যাবে। আজ যে গ্রাউন্ডে গিয়েছে, সেগুলো সরে যাবে।' 


সাংবাদিকদের সামনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমার মন খারাপ নয়। এই মামলা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে শুরু করিনি। কোনও ব্যক্তিগত উদ্দ্যেশে শুরু করিনি। ফলে আমার কাছে রইল কী কার কাছে গেল, তা নিয়ে আমার বিশেষ মাথাব্যথা নেই।'  চাকরিহারাদের অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন এরপরের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আপনারা অপেক্ষা করুন। মামলা তো শেষ হয়ে যাইনি। মামলা চলেছে। হাইকোর্টের অন্য কোনও জজ তো দেখবেন সেটা।' তিনি আরও বলেন, 'একেবারেই পদত্যাগ করছি না। আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই।'


 


আরও পড়ুন: কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের জীবনে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি