সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : গ্রুপ C নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের (TMC MP Aparupa Poddar) বিরুদ্ধে, CBI তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী তরুণজ্য়োতি তিওয়ারি। তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সেই মামলা গ্রহণ করলেন না বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মামলাকারী সরাসরি প্রভাবিত বা ক্ষতিগ্রস্ত নন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই মামলা জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গণ্য হওয়া উচিত।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ
অপরূপার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন বিচারপতি মান্থা। গ্রুপ সি-তে নিয়োগের জন্য নিজের লেটার প্যাডে লিখে অযোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশ করেছেন অপরূপা পোদ্দার। আরামবাগের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। প্রথমে তিনি এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিচারপতি মান্থা তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন।
কারসাজি করে মিথ্য়ে মামলা : অপরূপা
আদালতের পর্যবেক্ষণ শুনে অপরূপা বলেন, ' কারসাজি করে মিথ্য়ে মামলা করল। হাইকোর্টে কিন্তু ধাক্কা খেল। থ্য়াঙ্কস টু হাইকোর্ট। আমাকে জাস্টিস দেওয়ার জন্য়। '
আরওপড়ুন:
কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের জীবনে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
প্রেক্ষাপট
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়, কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের তিন বিধায়ক। আরেক তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে CBI. এই পরিস্থিতিতে, গত ২৩ এপ্রিল আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে, CBI তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী তরুণজ্য়োতি তিওয়ারি।
তাঁর অভিযোগ, গ্রুপ C-তে নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালে, নিজের প্যাডে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে, অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুপারিশ করেছিলেন অপরূপা পোদ্দার। সম্প্রতি অপরূপার বিরুদ্ধে, সাংসদ প্যাড ব্যবহার করে চাকরির সুপারিশের অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গে কয়েকটি নথিও ট্যুইট করেন তিনি। পাল্টা, ট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এরপর, তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারী এবং তরুণজ্যোতি তিওয়ারিকে মানহানির মামলার নোটিস পাঠান অপরূপা। পাশাপাশি দু'জনের বিরুদ্ধে শ্রীরামপুর থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
আরও পড়ুন :