কলকাতা: এসপি সিনহার মামলায় (SP Sinha) সিবিআইকে (CBI) ভর্ৎসনা বিচারকের। 'একই টেপ রেকর্ডার বাজাচ্ছেন আপনারা, কেন বলছেন জেল হেফাজত চাই ?', প্রশ্ন বিচারকের। 'জামিন দিলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে, তদন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছে', সওয়াল সিবিআইয়ের আইনজীবীর।


এদিন প্রশ্ন তুলে বিচারক বলেন, 'এই কথাই তো বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বলেই তো তদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে', বললেন বিচারক। 'তদন্ত না পারলে বলে দিন, জামিন পেলে কি ওরা নাচবে ?'। নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে ভবিষ্যতে তদন্ত হতে পারে তা আগেভাগে বুঝে জাল বিছিয়েছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। গাজিয়াবাদের OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থার বাঙালি অফিসার নীলাদ্রি দাসকে পেয়ে চাকরি-বিক্রির চক্রের কাজ আরও সহজ হয়েছিল। সুবীরেশ-নীলাদ্রি আঁতাঁতেই চলছিল কোটি কোটি টাকায় চাকরি কেনাবেচা।চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর দাবি করল সিবিআই।


কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, নাইসা-র তরফে OMR শিট মূল্যায়নের পর তা পাঠানো হত SSC-র অফিসে। সেখানে নম্বর কারচুপিতে সাহায্য করতেন SSC-র কর্মী পর্ণা বসু। এই কারচুপি যাতে ধরা না পড়ে, তার জন্য OMR শিট ফের পাঠানো হত মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসা-র কাছে।সেখানে আসল ডেটা শিটেও বদলে যেত নম্বর। সংস্থার তরফে বাঙালি হিসেবে নীলাদ্রিকে SSC-র সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়ায় সুবীরেশের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই। 


'নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হতে পারে বুঝে আগেই জাল বিছিয়েছিলেন সুবীরেশ। নীলাদ্রি দাসকে পেয়ে চাকরি-বিক্রির চক্রের কাজ সহজ হয়েছিল। সুবীরেশ-নীলাদ্রি আঁতাঁতেই চলছিল কোটি কোটি টাকায় চাকরি কেনাবেচা। নাইসা-র তরফে ওএমআর শিট মূল্যায়নের পর পাঠানো হত এসএসসি অফিসে। সেখানে নম্বর কারচুপিতে সাহায্য করতেন এসএসসি-র কর্মী পর্ণা বসু। কারচুপি যাতে ধরা না পড়ে, সেজন্য শিট ফের পাঠানো হত নাইসায়। সেখানে আসল ডেটা শিটেও বদলে যেত নম্বর', চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর দাবি করল সিবিআই।


আরও পড়ুন, আজ রাজ্য সফরে রাষ্ট্রপতি, কলকাতার কোন কোন রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ ?


প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) মামলার চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করেছিল সিবিআই (CBI)। পাশাপাশি এই চার্জশিটে বলা হয়েছিল, শিক্ষক নিয়োগে প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যেই, শান্তিপ্রসাদ সিন্হাকে SSC’র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। দুর্নীতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদেরও ষড়যন্ত্রমাফিক সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্কুলের নিয়োগে দুর্নীতির মামলায়, ইডির হাতে প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক তারপরই সিবিআইয়ের গ্রেফতার হন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা।