ভাস্কর ঘোষ, ঘুসুড়ি (হাওড়া) : হাওড়ায় (Howrah) পরপর বির্পযয়। ফোরশোর রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর এবার ঘুসুড়ির কালীতলায় ভেঙে পড়ল হনুমান জুটমিলের ছাউনি ও পাঁচিল (Wall and Shade Collapsed)। ৩-৪ জন শ্রমিকের আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিন ৬টায় মর্নিং শিফট শুরু হওয়ার পরেই এই বিপর্যয় ঘটে। আচমকাই ভেঙে পড়ে জুটমিলের পাঁচিল সমেত ছাউনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ। ধ্বংসস্তূপের নীচে কেউ আটকে আছে কি না, তা জানতে চলছে উদ্ধারকাজ।


প্রায় ৫ হাজার বর্গ ফুট জায়গাজুড়ে রয়েছে এই বিল্ডিংটি। এদিন সকালের শিফটের শ্রমিকরা কাজ শুরু করার পর আচমকাই ভেঙে পড়ে বিল্ডিংটি। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই বিল্ডিংয়ের উপরে নির্মিত হয়েছিল নতুন অংশ। নীচে প্রচণ্ড শব্দে কাজ করে ভাইব্রেটিং মেশিন। বারবার বলা সত্ত্বেও, মিল কর্তৃপক্ষ এনিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।


আজ সকালে আচমকাই ভেঙে পড়ার পরে শ্রমিকরা ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসার কোনও পথ পাননি। অন্তত তিন থেকে চার জন ওই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সিটি পুলিশের আধিকারিকরা। আসে বিপর্যয় মোকাবিলার একটি দলও। এখনও পর্যন্ত বড় জেসিবি লাগিয়ে উদ্ধারকাজ চলছে। কিন্তু, এই মুহূর্তে কে বা কারা আটকে রয়েছে, কীভাবে তাঁদের উদ্ধার করা যাবে, তার কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তাঁদের উদ্ধার করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে প্রশাসন। তবে, ঘটনা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে।  


এদিকে সাতসকালে হাওড়ার একটি কারখানা ও গুদামে ( Howrah factory fire  )  লেগে যায় বিধ্বংসী আগুন। কালো কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়ায় ঢেকেছে চারপাশ। দূর থেকে দেখে যাচ্ছে লেলিহান শিখা। পাশেই রয়েছে পেট্রোল পাম্প। দুর্ঘটনা আরও ভয়বহ হতে পারে ভেবে বন্ধ করা হয়েছে সেটি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা এলাকা। 


দমকল সূত্রে খবর, ভোর ৫টা নাগাদ আগুন লাগে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কাপড়ের গুদাম থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পরপর কয়েকটি গুদামে। গুদামের পাঁচিলের গায়েই রয়েছে পেট্রোল পাম্প। বড়সড় বিপদ এড়াতে পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফোরশোর রোডের একাংশে যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কীভাবে আগুন লাগল, খতিয়ে দেখছে দমকল ও পুলিশ। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।