কলকাতা: হাসপাতাল থেকে ছুটি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick)।হেঁটে হাসপাতাল থেকে বেরোলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে ফিট সার্টিফিকেট দিল অ্যাপোলো হাসপাতাল। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রহরায় সল্টলেকের পথে জ্যোতিপ্রিয়। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বনমন্ত্রীকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গেল ইডি।
সূত্র মারফৎ খবর, সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে জেরার সম্ভাবনা কেন্দ্রীয় এজেন্সির।মূলত এদিন মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছিল, ভাল আছেন জ্যোতিপ্রিয়, হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন নেই। জেরার মুখোমুখি হতে শারীরিক ভাবে সক্ষম জ্যোতিপ্রিয়।' কখন হেফাজতে নেবে, সিদ্ধান্ত নেবে ইডি, জানান দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিয়ম মতো ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই ইডি হেফাজত শুরু হবে মন্ত্রীর। আর মেডিক্যাল টিমের এই মতামতের পরে অ্যাপোলো হাসপাতালে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। এবং অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে জ্যোতিপ্রিয়কে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় ইডি।
তবে ইডি হেফাজতের নির্দেশের পর আদালতে জ্যোতিপ্রিয়রর অসুস্থ হয়ে পড়া নিয়ে পৃথক প্রতিক্রিয়া শোনা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্বের থেকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'নাটক করছেন মন্ত্রী'।প্রসঙ্গত, রাজ্যের এরাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী ইতিমধ্য়েই জেলে। গরুপাচার মামলায়, গতবছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তার পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, এখনও জেলবন্দি অনুব্রত। প্রথমে বাংলাতেই ছিলেন অনুব্রত। কিন্তু তিনি প্রভাবশালী, মামলার উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে আদালতে যুক্তি দেখান তদন্তকারীরা। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষ মেশ দিল্লির তিহাড় জেলে ঠাঁই হয় অনুব্রতর। তাঁর কন্যা সুকন্যাও সেখানেি রয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনিও এই মুহূর্তে জেলে। রাজ্যের এই দুই হেভিওয়েট নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী উভয়ের ক্ষেত্রেই তলবের সময় দেখা গিয়েছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
আরও পড়ুন, 'বাংলার শিল্প সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছেন মমতা', টাটাকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর
শেষ অবধি এসএসকেম-এর অন্দরে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর দল। এমন ছবি নারদ মামলাতেও প্রকাশ্যে এসেছিল। সেসময় ফিরহাদ হাকিম ছাড়া, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় (প্রয়াত) এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়-প্রত্যেককেই অসুস্থ হয়ে উডবার্ণ যেতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু পার্থ গ্রেফতারের ঠিক আগে নিয়মে কিছু বদল আনা হয়েছিল। যাতে কোনওভাবেই মামলা চলাকালীন, তলব এড়িয়ে কেউ না যেতে পারেন। তবে এবার সেই অধ্যায়ে নতুন সংযোজন এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনিও গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে আজকের মেডিক্যাল বোর্ডের মত প্রকাশের পর অভিমুখ কোন দিকে যাবে, তা ইডিই ঠিক করবে বলে মত তাঁদের।