সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Distribution Scam) ইডির জালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mullick)। ২০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট।
এদিকে, জোকা ইএসআইয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আদালতে পেশ করা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। যেখানে ইডির (Enforcement Directorate) তরফে দাবি করা হয়, রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদের অসহযোগিতা করার অভিযোগ এনে তাঁর থেকে তদন্তের প্রয়োজনে একাধিক তথ্য পেতে হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি (Central Investigating Agency)।
পাল্টা সুগার আক্রান্ত জ্যোতিপ্রিয় জেরা-জিজ্ঞাসাবাদ-গ্রেফতারি পর্বের মাঝে ইনসুলিন নিতে না পারার কথা জানান তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার আইনজীবী। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পা ফুলে থাকা সহ অসুস্থতার কথা জানিয়ে দাবি করেন জামিনের। এর মাঝেই ব্যাঙ্কশাল আদালতে চলতে থাকা শুনানি পর্বে সোজা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিচারপতি। জানতে চান, তাঁকে কি শারীরিকভাবে কেউ অত্যাচার করেছে ?
বিচারকের যে প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, না। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, ইডি-র আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহারই করেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অবশ্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তাঁর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ শানান।
এদিকে, রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির নজরে ৩ ভুয়ো সংস্থা। এই ৩ সংস্থার মাধ্যমে ১২ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, খবর ইডি সূত্রে। ওই ৩ সংস্থায় ৮ কোটি টাকা জমা পড়েছে, খবর ইডি সূত্রে। জেরার সময় বাকিবুরের স্বীকারোক্তি, ঋণ হিসেবে টাকা গিয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র কাছে, খবর সূত্রের। সেই টাকা কোনওদিন ফেরত আসেনি, খবর ইডি সূত্রে। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে। বাকিবুর ও মন্ত্রীর পিএকে জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক গুরত্বপূর্ণ তথ্য, ইডি সূত্রে খবর।