কৈখালি: বছরের শুরুতেই অগ্নিকাণ্ড (Fire)। সকাল ১১টা নাগাদ কৈখালিতে (Khaikhali) রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। বিমানবন্দরের (Dumdum Airport) পাঁচিল লাগোয়া ওই গুদামে আগুন লাগায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে দমকলের (Fire engine) ১৭ টি ইঞ্জিন পৌঁছেছে বলে খবর। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
দমকলের (Fire) দাবি, দুটি কারখানারই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। দুটি কারখানার মধ্যে জায়গা ছাড়াতেও মানা হয়নি নিয়ম। বিমানবন্দরের পাঁচিল লাগোয়া কারখানা দুটি বেআইনিভাবে চলছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। ঘটনাস্থলে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সী।
গত ২৭ ডিসেম্বর বন্ধ অফিসে লাগে আগুন। ভস্মীভূত ঘরে পুড়ে ছাই হয়ে যায় একাধিক নথি, কম্পিউটার, এসি। যা দেখে রীতিমতো স্তব্ধ এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবার একটি পঞ্চায়েত অফিসে।
পোলবা পঞ্চায়েত অফিসে আগুন লেগে পুরে ছাই হয়েছে কম্পিউটার,দরকারি নথি,ফাইল,এসি সবকিছু। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবারের পর থেকে ছুটি থাকায় পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ ছিল দু'দিন। আজ সোমবার সকালে অফিসের কর্মীরা অফিস খুলতেই দেখতে পান সব কিছু পুরে ছাই হয়ে গেছে। মনে করা হচ্ছে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছিল। পঞ্চায়েতের দরজা জানলা বন্ধ থাকায় কেউ টের পায়নি।
কিন্তু কাজ তো বন্ধ করা যাবে না। তাই পোলবা পঞ্চায়েতের দোতলায় বড় হল ঘরে ভাগ করে বিভিন্ন বিভাগের কাজ কর্ম করা হচ্ছে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেই। পোলবা পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রমেন হালদার জানিয়েছেন, অনেক প্রয়োজনীয় নথি ছিল সেখানে। অনেক দরকারি নথি ভস্মীভূত হয়েছে। এই আগুনে কোন কোন নথি পুড়ে গেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রমেনবাবু। আগুন লাগার খবর দেওয়া হয়েছে পোলবা থানা ও দমকলে।
এর আগে ২১ ডিসেম্বর হলদিয়া পেট্রোকেমে আইওসির (Haldia Petrochem IOC) রিফাইনারিতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে ৩ জনের মৃত্যুর খবর দেন হলদিয়া পুরসভা (Haldia Corporation) চেয়ারম্যান।
তিনি জানান, গুরুতরভাবে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৪৪ জন। ইতিমধ্যেই তাঁদের কয়েকজনকে গ্রিন করিডোর করে কলকাতায় এনে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মক ড্রিলের পরে ফের কাজ শুরু হতেই ওয়েল্ডিং থেকে দুর্ঘটনা। অগ্নিকাণ্ড নিয়ে এখনও হলদিয়া পেট্রোকেমের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৫ জনকে ভর্তি হয়েছে। প্রত্য়েকেরই 'সিভিয়র বার্ন' ছিল। তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আরও ১১ জনকে ভর্তির জন্য আনা হচ্ছে। প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালেও। উল্লেখ্য, বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের উদ্দেশে শোকপ্রকাশ করে একটি টুইটও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।