চার কেজি সোনা ও পাঁচ কেজি রুপোর গয়না দিয়ে সাজানো মাতৃপ্রতিমা। মা মা ডাক দিয়ে ছুটে আসা বহু ভক্তগণ। মা নাকি অসম্ভব জাগ্রত। দেবী সকলের ডাকে সাড়া দেন। বর্ধমানের কাটোয়ার এই পুজো ঘিরে মেতে ওঠে এলাকার মানুষজন। খেপি মায়ের মন্দিরে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। পুজোর শিকড় খুঁজতে গেলে চমকে উঠতে হয়। এই পুজোর শুরুটা বড় অদ্ভূতভাবে।

  


পুরোহিত তপন আচার্য জানালেন,  'আমরা শুনেছি এখানে একজন   খেপি ছিলেন। মা মা করতেন। মাথায় জটা ছিল। তারপর থেকে খেপির মা হিসেবেই পরিচিত এই কালী' । জনশ্রুতি, আশেপাশের রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে, শোনা যেত তাঁর 'মা মা' বলে চিৎকার। জনশ্রুতি রয়েছে জটাধারী এক মহিলার হাতেই পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের ক্ষেপা কালী পাড়ায় শুরু হয়েছিল পুজো।  চারিদিক জঙ্গলে ঘেরা, তার মাঝেই নাকি এক বেদিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল মা কালীকে।  


 তবে তা শুধুই জনশ্রুতি নাকি সত্যিই ইতিহাস বলে তেমনটাই ?  এ নিয়ে নানা মুনির নানামত। তবে এলাকার সিংহভাগ মানুষেরই বিশ্বাস, এক খেপির ডাকেই সাড়া দিয়েছিলেন মা। তাই দেবী পরিচিতি পান 'খেপির মা' নামে। কালক্রমে তিনি পরিচিত হন 'খেপি মা' বলে। এখন সেখানে ঝাঁ চকচকে মন্দির। সারাবছরই সেখানে ভিড় করেন ভক্তরা।  পুজো দিতে হয় মন্দিরে থাকা মা কালীর ফ্রেমে। তবে কালীপুজোর আগে নতুন রূপে সেজে ওঠেন দেবী।  


কালী পুজো উপলক্ষে মন্দিরে গড়া হয় প্রতিমা।  সামনে পুজো, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। অঢেল গয়নায় সেজে ওঠেন দেবী। পুজোর আগে ব্যাংকের লকার থেকে পুলিশি প্রহরায় গয়না আনা হয় মন্দিরে। এই পুজো নিয়ে বিভিন্ন জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে। অনেকেরই বিশ্বাস , মা ভক্ত বৎসল । প্রাণভরা মা-ডাকেই সাড়া দেন খেপি-মা। 


এ বছর কালীপুজো পড়েছে বৃহস্পতিবার ৩১ নভেম্বর। ৩১ অক্টোবর দুপুর ৩:৩২ থেকে শ্যামা পূজোর তিথি শুরু হচ্ছে। তিথি থাকবে ১ নভেম্বর সন্ধ্যে ৬:১৬ মিনিট পর্যন্ত। নিশীথ পুজোর সময় ৩১ অক্টোবর ১১:৪৭ থেকে ১২:৪৯ পর্যন্ত।  


ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।