সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: কালিয়াগঞ্জে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে এবার সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মৃত নাবালিকার বাবা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা


সিবিআই তদন্তের দাবি


গত সপ্তাহে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। পুলিশের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার ভাইরাল ছবি ঘিরে তোলপাড় হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। ঘটনায় রবিবারই কালিয়াগঞ্জে যায় জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এনসিপিসিআর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। যা নিয়ে, একের পর এক টুইটে আক্রমণ শানানো হয় রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে। কালিয়াগঞ্জে যান জাতীয় তফশিলি কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরুণ হালদারও। পুলিশ সাংবাদিক বৈঠকে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর কথা বললেও রবিবারই মৃতার পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়।

দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলাও
সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলাও।  এর পাশাপাশি, মৃত নাবালিকার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন মামলাকারী।


রিপোর্ট তলব রাজ্য়পালের


কালিয়াগঞ্জ ও কালিয়াচককাণ্ড নিয়ে রাজ্য় রাজনীতি এখন উত্তপ্ত। এনিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য়পালও। মুখ্য়সচিব এবং ডিজিপি-কে ফোন করে রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি, দ্রুত ব্য়বস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস। বুধবার রাজ্য়পালের কাছে যাচ্ছে বিজেপির আট সদস্য়ের প্রতিনিধি দল। এর আগে রিষড়ার অশান্তির পর, দার্জিলিং থেকে কলকাতায় ফিরে, সোজা সেখানে পৌঁছে গেছিলেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস।  এবার কালিয়াগঞ্জ ও কালিয়াচকের ঘটনায় মুখ্য়সচিব এবং রাজ্য় পুলিশের ডিজিকে ফোন করে, রিপোর্ট চাইলেন তিনি। 


কালিয়াচকের ঘটনাতেও সিবিআই তদন্তের দাবি


অন্যদিকে, মালদার কালিয়াচকে নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। ঘটনার সিবিআই তদন্ত ও আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে। কালিয়াচকের ঘটনায় মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা। কালিয়াচকের উজিরপুরে গতকাল সকালে চাষের জমি থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ করে। 


কী ঘটেছিল কালিয়াচকে


পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে দাবি,  সোমবার নাবালিকা ছাত্রীকে ফোন করে কেউ ডেকে পাঠায়। বাবা-মাকে লুকিয়ে বিকালে সে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতের দিকে বাড়িতে ফোন করে বলে, সে কালিয়াচকে এসেছে। সকালে ফিরবে। কালিয়াচকে তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। পরিবার ভেবেছিল, সে আত্মীয়ের বাড়িতে গেছে। এরপর, মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পায় পরিবার।