কলকাতা: এযেনও অপেক্ষা শেষ হতে হতেও হল না শেষ। গতকালই 'কালীঘাটের কাকুর' কণ্ঠস্বরের নুমনা (Kalighater Kaku) নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ইডির (ED)। সেই মতোই এসএসকেম থেকে ইএসআই-তে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর গ্রীণ সিগন্যাল মিললেই বহু প্রতীক্ষিত কণ্ঠস্বরের নুমনা সংগ্রহ করার অনুমতি পেত কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। সেই ভাবেই গতকাল সাতসকালে হাসপতালের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্স। যদিও শেষ অবধি প্ল্যান ভেস্তে যায়। আচমকাই এসএসকেএম সূত্রে জানা যায়, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আগেই আইসিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। আর এবার শেষ অবধি পাওয়া খবরে, 'কালীঘাটের কাকু'র ওপর নজরদারি চালাতে এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিসিইউ-তে মোতায়েন সিআইএসএফ।
বৃহস্পতিবার রাতে, হঠাৎ বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ তড়িঘড়ি তাঁকে আইসিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। কারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন? তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? নজর রাখতে ২ জন সিআইএসএফ জওয়ানকে মোতায়েন করল ইডি। এসএসকেএম সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বেশ কিছু পরীক্ষার জন্য তাঁর রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে। সুজয়কৃষ্ণর হদযন্ত্রের সমস্যার বিষয়ে জানতে করা হবে সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাম, খবর হাসপাতাল সূত্রে।
গত কয়েক মাস ধরেই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার চেষ্টা করছেন ইডির (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা । ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, তারা যখন হাসপাতালে গিয়েছিল, তখন হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয় তিনি (সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র) অসুস্থ। এখন তিনি মানসিকভাবে সুস্থ নন। সেদিন কয়েক ঘণ্টা হাসপাতালে থাকার পর খালি হাতে ফিরে এসেছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এবং ইডি আধিকারিকরা।
এরপর ইডি আধিকারিকরা আবার এসএসকেএম হাসপাতালকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। কণ্ঠস্বরের নমুনা তাঁরা নিতে চান। দ্রুত একটা তারিখ দেওয়া হোক। সূত্রের খবর, ইডির সেই মেলের উত্তর দিয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। উত্তরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই মেডিক্যাল বোর্ড মেডিক্যাল টেস্ট করে ঠিক করবে কোন দিন কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া সম্ভব হবে।