বিজেন্দ্র সিংহ, দীপক ঘোষ, কলকাতা : তৃণমূলের সংসদীয় দলে নজিরবিহীন গৃহযুদ্ধ, বেলাগাম আক্রমণ ! কীর্তি আজাদ থেকে শুরু করে সৌগত রায় ও এক মহিলা সাংসদকে একযোগে নিশানা করলেন কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বিজেপির IT সেলের প্রধান অমিত মালব্য আবার সোশাল মিডিয়ায় তীর্যক বাণী সহ সেইসব ভিডিও পোস্টও করলেন। মঙ্গলবার থেকে বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে চর্চার শিরোনামে কল্য়াণ ও তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দল।  এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে দলের একাংশের বিরুদ্ধেই একের পর এক শাণিত আক্রমণ করেন কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তবে এসব কিছুর সূত্রপাত যেখানে, সেটা হল 'সন্দেশ'। বাঙালি মিষ্টি-প্রিয় জাতি, এ কথা বলাই বাহুল্য । শুভ সূচনা থেকে থেকে মধুর সমাপন, সবেতেই বাঙালির দরকার মিষ্টি। তাবলে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভের এমন অগ্ন্যুৎপাতের হেতু কি না 'সন্দেশ'? হ্যাঁ, এক্কেবারে ঠিক পড়েছেন। আসলে এই 'সন্দেশ' একটি মিষ্টির দোকান। আর এই মিষ্টির দোকান নিয়েই মিষ্টতা নয় ছড়াল তিক্ততা। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য়র সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও থেকে বিষয়টি সামনে আসে। 

রাজধানীর বুকে বাঙালি মিষ্টির দোকান  'সন্দেশ'। আর তৃণমূলে গৃহযুদ্ধের মূলে না কি সেই মিষ্টির দোকানই! মিষ্টি ঘিরেই তিক্ততা!তৃণমূলের সাংসদরা একে অপরকে আক্রমণ করতে গিয়ে বয়ফ্রেন্ড, বান্ধবী, চোর, কমিশন, এজেন্ট...কোনও শব্দই বাদ দিলেন না! সূত্রের দাবি, গত শুক্রবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে নিজেদের মধ্যেই বাকবিতণ্ডায় জড়ান কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ। তবে মূল তিক্ততার সূত্রপাত না কি বাঙালি অধ্যুষিত দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে একটি মিষ্টির দোকানকে কেন্দ্র করে!

 

দিল্লির সেই মিষ্টির দোকান 'সন্দেশ'

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, 'কীর্তি আজাদ কয়েকজন মহিলা MP এবং ২-৪ জন মেল MP-র একটা চিঠিতে সই নিয়েছিল। সইটা নেওয়ার পর, চিঠিতে অধ্যক্ষকে লিখেছিল যে, সন্দেশ একটা দোকান আছে না চিত্তরঞ্জন পার্কে তার একটা কাউন্টার পার্লামেন্টের ক্যান্টিনে খোলা হোক। যে মুহূর্তে আমি জানতে পেরেছি, আমি সঙ্গে সঙ্গে এর বিরোধিতা করেছি। এটা হতে পারে না। পার্টির অনুমতি না নিয়ে কে দোকান খুলবে, এটা কী করে হয়? আর আমরা তৃণমূল কংগ্রেস কখনও প্রাইভেট ব্যবসাতে আগ্রহী নই। তখন সে আমাকে বলে এটা তো আমাদের প্রাইভেট ম্যাটার । নো ইটস নট আ প্রাইভেট ম্যাটার' 

একটা মিষ্টির দোকানকে ঘিরে তৃণমূলের কোন্দল এভাবে রাস্তায় নেমে এল! সত্যিই কি  'সন্দেশ'এর জন্যই জেরবার তৃণমূল, নাকি আগুনটা আগে থেকেই জ্বলছিল ধিকিধিকি করে ?