কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য় কল্য়াণ বন্দোপাধ্যায়।  আর সেই তিনিই এবার যা বললেন, তাতে দলের অন্দরে তোলপাড়। ইদানীং তৃণমূলে শিক্ষা সেলের কমিটি থেকে বাদ পড়ার পরই একাধিক শিক্ষক নেতা অভিযোগ করেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করার কারণে রোষানলে পড়তে হয়েছে তাঁদের। তালিকা একে একে লম্বা হয়েছে। কিন্তু দলের প্রবীণ সাংসদ এই নেতাদের সতর্ক করলেন। 'দিদি আছে বলে আছি, না হলে নেই। দিদির মন্ত্রীদের চালচলন দেখলে আর থাকতে ইচ্ছে করে না।' এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।  


তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নতুন রাজ্য় কমিটি ঘিরে বিতর্ক থামছে না। সম্প্রতি কমিটি থেকে সরানো হয়েছে একাধিক শিক্ষক নেতাকে, বদলে এসেছে নতুন মুখ। আর তারপরই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করার কারণে রোষানলে পড়তে হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করে সরব হন একের পর এক শিক্ষক নেতা। আর কল্যাণের তির এবার তাঁদেরই দিকে। 


তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম, তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন সভানেত্রী সোনালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহরণই ধরা যায়। সম্প্রতি তাঁরা দাবি করেন, 'অভিষেক ব্যানার্জিকে আমরা সাপোর্ট করি বলেই কি এই রোষানলে আমাদের পড়তে হল?' 


এঁদের উদ্দেশ্য করেই কল্যাণ বলেন, 'এইসব ছেলেমানুষি কথাবার্তা হচ্ছে।  এই ছেলেগুলো যত কম এগুলো করবে, অভিষেকের জন্য় ততই মঙ্গল হবে, তোমাদের মাধ্য়ম দিয়ে আমি সেটাই জানিয়ে দিলাম। ' 


বুধবার শাসক দলের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপা, পার্শ্বশিক্ষক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠন, শিক্ষাকর্মীদের সংগঠনের কমিটিতে রদবদলের ঘোষণা করেন তৃণমূলের শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যান । ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি জানান,  মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  পাল্টা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা। বললেন, 'যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কালকে যে সংগঠনের কথা বলছ, সেটা দিদির অনুমতিক্রমে হয়েছে' ।               


সবমিলিয়ে কল্যাণের বক্তব্যে আবারও একটা প্রশ্ন উঠেই গেল, ক্রমেই কি শিবির-ভাগ স্পষ্ট হচ্ছে তৃণমূলে ?  


দেখুন কী বললেন কল্যাণ :