কল্যাণী: SSC-র ধাঁচে কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি (Illegal) নিয়োগের অভিযোগে বিজেপির দুই সাংসদ, দুই বিধায়ক-সহ ৮ জনের নামে এফআইআর। তদন্তে সিআইডি। নথি হস্তান্তর করল কল্যাণী থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ-সহ ৮ জনের।


প্রভাব খাটিয়ে বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের আত্মীয়দের কল্যাণী এইমসে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি-রোধ আইন-সহ একাধিক ধারায় বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।


বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের দাবি: এইমসে ঠিকাদারের মাধ্যমে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ হয়েছে। রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরেও এভাবেই নিয়োগ হয়। এর সঙ্গে আমার পুত্রবধূ আবেদন করে চাকরি পেয়েছে। আমার এর সঙ্গে কোনও যোগ নেই।


কোথাও যদি একটিও বেআইনি কাজ করে, কাউকে বঞ্চিত করে বা টাকার বিনিময়ে কিছু করে থাকি, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। যদি প্রমাণ কেউ করতে পারে। শুধু দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য তৃণমূল এটা করছে। প্রতিক্রিয়া জগন্নাথ সরকারের।


নতুন পদ নিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও নিয়োগ হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন তুললেন শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে কালীঘাট থানায় (Kalighat Police Station) দেওয়া হল স্মারকলিপি। 


SSC’র নিয়োগ বিতর্ক: উল্লেখ্য, SSC’র নিয়োগ বিতর্কের মধ্যেই গত ১৯ মে ৬ হাজার ৮৬১টি নতুন পদ সৃষ্টির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। যার মধ্যে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ পদ। কিন্তু সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও নিয়োগ হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন তুললেন মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থানরত শারীরশিক্ষার ও কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা।


মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি নিয়ে আন্দোলনকারীদের ৮ প্রতিনিধি বুধবার হাজির হন কালীঘাট থানায় (Kalighat Police Station)। দেওয়া হয় স্মারকলিপি। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হস্তক্ষেপ করুন মুখ্যমন্ত্রী।


স্মারকলিপি গ্রহণ করে কালীঘাট থানা জানিয়েছে, আন্দোলনকারীদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, এদিন SSC অফিসে গিয়ে সংরক্ষিত নথি খতিয়ে দেখল CBI-এর তদন্তকারী দল। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সল্টলেকে SSC-র অফিস আচার্য সদনে যান। CBI সূত্রে খবর, তদন্তকারী দলে দু’জন সাইবার বিশেষজ্ঞ ও ডিজিটাল ডেটা সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ ছিলেন।