সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: কামারহাটি (Kamarhati Municipality) পুরসভার কর্মচারী সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে তুলকালাম। সিপিএমের (CPIM) প্রাক্তন বিধায়ককে ধাক্কা মেরে বের করে দেন পুরসভার নিরাপত্তারক্ষী। ভোটের নামে প্রহসনের অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল বামেরা। কামারহাটি কর্মচারী সমবায় সমিতির ১২টি আসনে ভোট হচ্ছে।
সিপিএমের অভিযোগ, বাম সমর্থিত প্রার্থীদের আটকে রেখে মারধর করা হয়। পুলিশের সামনেই সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়কে পুরসভার নিরাপত্তারক্ষী নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। সিপিএমের দাবি, সমবায় সমিতিতে গচ্ছিত টাকা লুঠ করতেই তৃণমূল নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। নির্বাচন সুস্থ, স্বচ্ছভাবে হোক।কাজের নিরিখে ভোট হোক। প্রতিক্রিয়া মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের।
এদিকে, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সব সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, পৃথকভাবে OBC ভোটার গণনা নিয়ে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়।
আদালতে জটমুক্ত হল পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট। নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কমিশন। তবে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, শুধুমাত্র ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষের গণনার ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছিল, তা গ্রহণযোগ্য নয়। আলাদা আলাদা সম্প্রদায়ের মানুষের গণনার জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম থাকতে পারে না বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন, দণ্ডি কেটে BJP ছেড়ে TMC-তে ফিরলেন ৩ মহিলা! 'আদিবাসীদের অপমান', মন্তব্য সুকান্তর
একই সঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও অন্য ইস্যুতে নতুন করে আবেদন জানাতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধুমাত্র ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষের গণনা নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ।