কলকাতা : ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনা। রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২৪ হাজার পেরলো। কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ ৮ হাজার পার! উত্তর ২৪ পরগনাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমণের কবলে। দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে! এই পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুণ্যার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কামারপুকুর মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ।
সোমবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই বিধিনিষেধ। করোনা-গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ২০২১-এর ২৪ জুলাই থেকে বন্ধ ছিল কামারপুকুর মঠের দরজা। গুরু পূর্ণিমার দিন খুলে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ১৯ অগাস্ট থেকে খুলে যায় কামারপুকুর মঠ। সোমবার থেকে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ পুণ্যার্থীদের প্রবেশ।
ইতিমধ্যেই, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেলুড় মঠের দরজা। এর আগে ২০২২ - র ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মঠে ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপর ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকারের কোভিড নির্দেশিকা মেনে অনির্দিষ্টকালের জন্য মঠ প্রাঙ্গণে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মঠ কর্তৃপক্ষ । কোভিড টাইকুন রুখতেই মঠের এই সিদ্ধান্ত। ২০২০ সাল থেকে কোভিডের দাপটে বিভিন্ন সময় মঠ এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দীর্ঘ সময় মঠের দরজা বন্ধ থেকেছে ভক্তদের জন্য। দুর্গাপুজোতেও বেলুড় মঠের দেবীকে দর্শন করতে ভরসা রাখতে হয়েছিল ভার্চুয়াল মাধ্যমেই।
আরও পড়ুন :
সোম ও মঙ্গল বন্ধ রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার সব বাজার
করোনার দাপট বাড়তে থাকায় ১১ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশে জারি নিষেধাজ্ঞা।তবে খোলা আছে কালীঘাট মন্দির, বাইরে থেকে করা যাবে দর্শন। গত সোমবার থেকে বাগবাজারের মায়ের বাড়িতেও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ভক্তপ্রবেশ আছে।
বীরভূমের তারাপীঠের মন্দিরেও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। তারাপীঠ মন্দির খোলা থাকলেও, একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি পূণ্যার্থীর প্রবেশে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হচ্ছে কোভিড বিধি।