কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত হল কামদুনিক নির্যাতিতার ভাইয়ের আবেদন। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি, কামদুনির নির্যাতিতার ভাই শীর্ষ আদালতে পৃথক SLP  জমা করেছিলেনন। আট অভিযুক্তের পাশাপাশি রাজ্য সরকারেরও উল্লেখ ছিল তাতে। মঙ্গলবার সেই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। কিন্তু আজ শুনানি যদিও বেশি দূর এগোয়নি। তবে মামলায় সঙ্গে জড়িত সকলকে নোটিস দিয়েছে আদালত, নোটিস দেওয়া হয়েছে রাজ্যকেও। এর জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari_ ধন্যবাদ জানালেন কামদুনি মামলার অন্যতম প্রতিবাদী মুখ, মৌসুমী কয়াল (Mousumi Kayal)।


কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কামদুনির নির্যাতিতার ভাই। মঙ্গলবার তাঁর আবেদন গৃহীত হয় আদালতে। এদিন দিল্লিতে তাঁদের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন মৌসুমী। এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "রাজ্য সরকারের SLP-র সঙ্গে আমাদের SLP ট্যাগ করা হয়েছে। আমরা খুবই খুশি। আশাকরি বিচার পাব। ১০ বছরের লড়াই। সুবুদ্ধিসম্পন্ন কিছু মানুষ পাশে ছিলেন, আজও আছেন। গায়ে কোনও রকম রং না লাগিয়ে প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উনি আমাদের এতদূর আসতে সাহায্য় করেছেন। আমাদের অ্যাডভোকেট দেওয়ার পিছনে ওঁর একমাত্র হাত। ব্যক্তিগত ভাবে ওঁকে ধন্যবাদ জানাই।"


এদিন মৌসুমী আরও বলেন, "এখনও পর্যন্ত সবরকম দলই সাহায্য করে যাচ্ছে, যাতে আমরা বিচার পাই। ব্যক্তিগত ভাবে সকলকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ এই আন্দোলন আমাদের গরিবের আন্দোলন। রাজ্যে গরিবের বিচার হয় না। টাকা নেই বলে বিচার পায় না গরিব। সাধারণ এবং সুবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যাঁরা পাশে রয়েছে, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আবার আশা আলো জেগেছে মনে। লড়াই লড়ছি, লড়ব। যতদিন পর্যন্ত বিচার না পাচ্ছি, লড়াই চলবে।"


আরও পড়ুন: Kamduni Case: সুপ্রিম কোর্টে কামদুনি মামলার শুনানি স্থগিত, নোটিস দিয়ে মামলায় জড়িতদের জবাব তলব


কামদুনিকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ছ’জনের মধ্যে চারজনকে মুক্তি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তথ্যপ্রমাণের অভাবে একজনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। বাকি দু’ঝন সাজাপ্রাপ্তের মৃত্যুদণ্ড রদ করে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকারও।পৃথক ভাবে আদালতে SLP দায়ের করেন  নির্যাতিতার ভাই এবং প্রতিবাদীরা।


 কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এর আগে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই সময় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় আদালত। সেই কথাও আজ উল্লেখ করে শীর্ষ  আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে যাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ফের হেফাজতে নিয়ে বা জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া যায়, আদালত এই প্রশ্নও তোলে। মামলাকারীর তরফে শুনানির আবেদন জানানো হলে, বক্তব্য শোনে আদালত। তার পরই নোটিস জারি করা হয়। সেই নোটিসের জবাব পেলে, পরের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।