বিজেন্দ্র সিংহ, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে কামদুনি মামলার শুনানি স্থগিত। মামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে নোটিস দিয়ে জবাব চাইল সর্বোচ্চ আদালত। কামদুনিতে মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে রাজ্য এবং আট অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল । কামদুনি মামলায় সুবিচার চেয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন মৃতার পরিবার এবং প্রতিবাদীরা। আজ সেই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু শুনানি স্থগিত হয়ে গেল আপাতত। (Kamduni Case)
কামদুনির নির্যাতিতার ভাই শীর্ষ আদালতে পৃথক SLP জমা করেন। আট অভিযুক্তের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও জবাবদিহি করতে হবে বলে আবেদন জানান তিনি। মঙ্গলবার সেই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। কিন্তু আজ শুনানি বেশি দূর এগোয়নি। কারণ আদালত আজ মামলায় সঙ্গে জড়িত সকলের উদ্দেশে নোটিস জারি করা হয়। অভিযুক্ত আট জনের পাশাপাশি, রাজ্য সরকারকেও নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। (Supreme Court)
এর আগে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এর আগে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই সময় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় আদালত। সেই কথাও আজ উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে যাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ফের হেফাজতে নিয়ে বা জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া যায়, আদালত এই প্রশ্নও তোলে। মামলাকারীর তরফে শুনানির আবেদন জানানো হলে, বক্তব্য শোনে আদালত। তার পরই নোটিস জারি করা হয়। সেই নোটিসের জবাব পেলে, পরের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Purba Medinipur News: বাড়িতে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ ভূপতিনগরে? আহত ২ BJP কর্মী, গ্রেফতার ১
কামদুনিকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ছ’জনের মধ্যে চারজনকে মুক্তি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তথ্যপ্রমাণের অভাবে একজনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। বাকি দু’ঝন সাজাপ্রাপ্তের মৃত্যুদণ্ড রদ করে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকারও।পৃথক ভাবে আদালতে SLP দায়ের করেন নির্যাতিতার ভাই এবং প্রতিবাদীরা।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণার পর থেকেই সিআইডি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আসছে নির্যাতিতার পরিবার। অন্য দিকে, কামদুনিকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকারও। সুপ্রিম কোর্ট থেকে সুবিচার মিলবে বলে আশাবাদী নির্যাতিতার পরিবার। দীর্ঘ ১০ বছরের লড়াই চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর পরিবারের সদস্যরা।
প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল বলেন, "সুপ্রিম কোর্টে মামলা গৃহীত হয়েছে। আমাদের আইনজীবী সিদ্ধার্ত রুদ্র আশ্বাস দিয়েছেন যে, কামদুনির নির্যাতিতা তাঁরও বোন। আমরা আশা করছি বিচার পাব। রাজ্য সরকারের তরফে যে SLP দায়ের করা হয়েছিল, তার সঙ্গে আমাদের SLP-কে যুক্ত করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে উনি এতদূর আসতে সাহায্য করেছেন আমাদের।"